মাথা ব্যাথায় ভোগেনি এমন মানুষের সংখ্যা সমাজে খুবই বিরল । স্নায়ূবিক বিভ্রাট,পারিপার্শি্ক প্রতিকূল আবহাওয়া এবং মেধার অধিক পরিশ্রমজাত অবস্থার সাময়িক বহিঃপ্রকাকাশের ফল মথাব্য্যথা । আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানে এগুলো সাইনোসাইটিস, মাইগ্রেণ ইত্যাদি নামে পরিচিত ।
কপালে প্রচন্ড ব্যথা হলে চিকিৎসক প্রথমেই বিষকপালী নামক একটা গাছের শিকড় উঠায় । শিকড় উঠানোর সময় নিম্নোক্ত মন্ত্রটি পাঠ করা হয় ।
মাথা মাথা মুর মাথা
এই মাথার বিষ,
কে ঝাড়ে? গুরু ঝাড়ে,
গুরু গিয়া মাই ঝাড়ে ।
এক নিঃশ্বাসে তিনবার মন্ত্রটি পড়ে শিকড় উঠায় । তারপর শিকড়টা কপালে চেপে ধরে এদিক থেকে ওদিক তিনবার টানে । সে সময় আরো একটি মন্ত্র পড়তে হয় ।
আলীর হাংকা
সীতার বান,
অমুকের বিষ কপালী ব্যথা
কাটিয়া করনু খান খান ।
হর বিষ হর, ঝর ঝর নির্ঝর
গোড়লের হুঙ্কার,
হুঙ্কারে ভূমে মাটিতে পর
হেট ছেড়ে উপরে ধাবে
দোহাই লাগ ঈশ্বর শিবের
মাথা খাবে ।
কপালে ঘষা শিকড়টা ফেলে দিতে হয় তিন মাথার মোড়ে । ঐ পথে প্রথম যে যায় সেই আধকপালী রোগের শিকার হয় । এ কারণে শিকড়টি অনেকেই নদীতে বা পুকুরে ফেলে দেয় । কপালের ব্যথা তা যে ধরনেরই হোক না কেনো অধিক দিন স্থায়ী হয় না । লোকচিকিৎসকেরা মন্ত্র ও ঔষধ প্রয়োগ করে থাকে একাদিক দিন । তাঁদের চিকিৎসায় হয়তো মাথা ব্যথা দূরীভূত হয় না- দূরীভূত হয় প্রাকৃতিক নিয়মে । কিন্তু গৌরব প্রাপ্তি ঘটে লোকচিকিৎসকের আর এর ফলেই লোকসমাজে মাথা ব্যথায় অন্য কোনো চিকিৎসকের কাছে না গিয়ে প্রথমেই ওঝা কবিরাজের দ্বারস্থ হয় । এ নিয়মের ব্যত্যয় সহজে ঘটবে বলে মনে হয় না ।
আধ-কপালি মাথা ব্যথা (মাইগ্রেণ) ব্যথা নিরাময়ের মন্ত্র
চিলি মিলি আধ কপালি
কুন্ঠে পালু বিষের হাড়ি
শিবের হাঙ্কার মহাদেবের বর
কপালের বিষ মাটিতে ঝড়ে পড় ।
প্রয়োগ বিধিঃ সকাল বেলা বাসী মুখে এক নিঃশ্বাসে এই মন্ত্র তিনবার পাঠ করে রোগীর কপালে ফু দিতে হবে ।
মাথা ব্যথা ভালো করার মন্ত্র
মাথাতে বসিলা মাগো
তুই মাথা মুরা হইয়া,
মাথারই যন্ত্রণাগুলা
দে মা ছাড়িয়া ।
দোহাই লাগে রামচন্দ্রের
করুণা করিয়া
ওরে মারিব ঝিলিক
বান ফেলাব কাটিয়া ।
কৃষ্ণ আয় আয়
গড়ুর হুংকারে বিষ
পাতালে চলে যায় ।
নিয়মঃ এই মন্ত্র এক নিঃশ্বাসে একবার পড়ে রোগীর কপালে তিনবার ফু দিতে হবে । এভাবে নয় বার ফু দিলে ব্যথা দূর হবে ।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন