সম্মোহনী সিন্দুর পড়া বশীকরন মন্ত্রঃ

 




সম্মোহনী সিন্দুর পড়া বশীকরন মন্ত্রঃ

মদন রাজায় দেখে ভুলে নারী।

চন্দ্রকলা রূপে পড়ে দোহাই দিনু তারি ।।

ফুল ধনু হাতে তার,আর ফুল বান ।

নারীকে দেখিয়া সে যে করবে সন্ধান ।।

সেই ধ্যানে উমকীর টেনে আনে প্রান ।

দোহাই মদন দেব দোহাই তোমার ।।

ফুল ধনুর দোহাই...?

ফুল বানের দোহাই...?

নিয়মঃ যে অশ্বস্থ গাছের সহিত নিমগাছ জড়াইয়া আছে । উহার দুয়ের শিকড় আনিয়া গঙ্গাজল দিয়া বাটিয়া জাগ্রত কালিমাতার সিন্দুর লইয়া উহার সহিত মিশ্রিত করিয়া যে নারীকে বশীভুত করিতে হইবে তাহার নাম (উমকীর স্থলে) উচ্চারণ করিয়া একশত আটবার অভিমন্ত্রিত করিয়া ঐ সিন্দুর নিজের কপালে ফোটা কাটিয়া সেই নারীর নিকট গমন করিলে সে তোমার প্রতি দৃষ্টিপাত করিলেই ক্রীতদাসের ন্যায় বশীভূতা হইবে ।।

মনমোহিনী তিলক পড়া বশিকরণ মন্ত্রঃ

ধ্যান করে সদা শিব বসি শিলাতলে ।

মদন আর রতি কেলি করে কুতুহলে ।

মদন মারিলা বান শঙ্করের গায় ।

ধ্যান ভাঙ্গি সদাশিব চারিদিকে চায় ।

কামেতে অবশ্য তনু হৈলা জ্বরজ্বর।।

পলকে পাগল হৈলা দেব দেব হর ।

উমকী পাগল হৈল তিলক হেরিয়া ।

আমারে ভজুক সে সকলি ত্যাজিয়া ।।

কার আঞ্জা...?

বাবা সদাশিবের আঞ্জা ।

কার আঞ্জা...?

হাড়ির ঝি মা চন্ডিকার আঞ্জা ।

নিয়মঃ মনশিলা,হরিতাল এবং কোলা গাছের মূলের রসের সহিত গোরেচনা মিশ্রিত করে নিজললাটে তিলক কাটিয়া অভিলষিত নারীর নিকট গমন করিলে সে যত কঠিন হউক না কেন তিলকে দর্শনে এমনি মোহিত হইবে যে সে চিরকাল তোমার একান্ত অধীনা থাকিবে । উমকীর খেলে ঐ নারীর নাম উল্লেখ করিবে ।।

শিকড় পড়া বশিকরন মন্ত্রঃ

গোপনেতে একদিন সত্যভামা সুন্দরী ।

আঁখি পাল্টিতে সুভদ্রার মন করিল চুরি ।

তাহা হেরি সুভদ্রা চারদেকে চায় ।

সম্মুখে দেখিলা অর্জুন দাড়ায়ে আছয় ।

মদন দেবের দোহাই অন্য কিছু নয় ।

এ শিকড় পড়ায় উমকী বশমানায় ।

উমকী চাউক মোর প্রানে ।

আমি আনি তার মন টেনে ।

কার আঞ্জা...?

মদন দেবের আঞ্জা ।

কার আঞ্জা...?

রাতি দেবির আঞ্জা ।

আমার এ শিকড় পড়া উমকীকে___

লাগ লাগ লাগ শীঘ্র লাগ ।।

আমার এ শিকড় পড়া যদি লঙ্ঘে__

মদন রতি হগার পদে ঠেকে ।।

নিয়মঃ বিছুটি গাছের সহিত কাটানটের গাছ জড়ায়া উঠিলে ঐ গাছের তলায় পূর্ব্দিক প্রদিপ জ্বালাইয়া রাখিবে । যদি দেখ দুইটি গাছের শিকড় একসঙ্গে আছে। তাহা হইলে ঐ গাছের শিকড়ের সহিত একটি সুপারী দিবে । আর যদি দেখ দুইটি শিকড় আলাদা ভাবে আছে তবে দুইটি সুপারী দিবে । আর যদি চন্দ্রগ্রহনের সময় শিকড় সংগ্রহ হইয়া থাকে ।তবে কিছু করা লাগবে না । সেই শিকড় নিজের হাতে বেঁধে সেই নারীর সাথে দেখা করলে বসিভুত হয়ে যাবে ।।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন

এখানে ক্লিক করে বই ডাউনলোড করুন