জ্বীন কেনো মেয়েদের শরীরে ভর করে জেনে নিন



যদি কোন জ্বীন কোন মেয়েকে
আছর করে তাহলে জ্বীন কি তার সাথে
শারীরিক
সম্পর্ক করতে পারে? যদি শারীরিক সম্পর্ক
করে
তাহলে বুঝবো কি করে?
# উত্তর_____
হ্যাঁ, জ্বীন মেয়েদের উপর আছরই
করে মূলত শারীরিক সম্পর্ক করার জন্য,,এই আছর
করে মেয়েদের প্রথম হায়েযের সময়
বেশিরভাগ,,যখন তারা নাপাকি অবস্থায়
থাকে এবং আল্লাহ
তায়ালার জিকির থেকে গাফেল থাকে,,
প্রথম
হায়েযের সময় যেসব মেয়েদের উপর আছর
করে তাদের জ্বীন ছুটানো কঠিন, ক্ষেত্র
বিশেষ অসম্ভব,, একদম ফর্শা মেয়েদের উপরে
বেশি আছর করে,, তবে বিয়ের পরে যাদের
উপর
আছর করে তাদের থেকে ছাড়ানো সহজ,, প্রথম
হায়েযের সময়ে যেসব মেয়ে বেশি একাকী
থাকে, হায়েযের কাপড় এখানে সেখানে
ফালায়,,মাথায় কাপড় দেয় না, একাকী
অন্ধকারে ঘুমায়,
বন জঙ্গল দিয়ে চলাচল করে তাদের উপরে
বেশি
আছর করে,,সাধারণত নামাযের নিষিদ্ধ সময়ে
আছর
করে,,তাই এই সময়ে সতর্ক থাকা জরুরী,,নারীরা
বেশি আত্রান্ত হয়:- কারন, অপবিত্রতার
দিনগুলিতে যিকির
আযকার না করা, আর বাথরুমে প্রবেশের দুআ
না পড়া,,
শরীর ও মাথা ভালো করে না ঢেকে এবং দুআ
না
পড়ে বাথরুমে প্রবেশ করার ফলে ছেলে
জ্বীন তাদের নগ্ন অবস্থা দেখে আকৃষ্ট হয় আর
ভর করে,,
শারীরিক সম্পর্ক করলে বুঝার উপায় হলো,
১)ঘুমের মধ্যে (মানে স্বপ্নদোষের সময়- তখন
অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ হয়),,
২) জেগে থাকা অবস্থায় (রোগি শুয়ে থাকে
কিন্তু
সাময়িকের জন্য অবশ হয়ে যায় হাত-পা,,,আর
জ্বীন
তার সংগে মিলন করে যা রোগি বুঝতে পারে)
,,
জেগে থাকা অবস্থায় মিলনের সময় জ্বীনকে
রোগি দেখতেও পারে, নাও দেখতে
পারে,,এমনও শুনেছি, নিজের স্বামীর রুপ ধরে
এসে মিলন করে গেছে,,,(এই মতো ভিডিও ইউটিউবে পাওয়া যায় আমি দেখেছি)
৩) কোন জ্বীন যদি কোন মেয়ের সাথে
শারীরিক সম্পর্ক করার উদ্দ্যেশেই আছড় করে
তাহলে মেয়ের গায়ের বিভিন্ন জায়গায় দাগ
থাকে,,
এই দাগ মাঝে মাঝেই মেয়ের গায়ে দেখা
যায়,,,
শারীরিক সম্পর্ক না হলেও এরকম দাগ দেখা
যাবে,,
লাল দাগ,, খামচি বা কামড়ের দাগ,, বিশেষ
করে গলার
নিচের দিকে,, নিয়মিত মাসনুন দোয়াগুলো
পড়ে
ঘুমালে এগুলো করতে পারে না,,
৪) কোন জ্বীন যদি কোন মেয়েকে পছন্দ
করে তখন ওই জ্বীন সবসময় মেয়ের
আশেপাশে থাকে,, যখন ঘুমায় তখন আসে, ঘুমের
মধ্যেই শারীরিক সম্পর্ক করে,, মেয়ে তখন
বাস্তবতা অনুভব করতে পারে কিন্তু কাউকে
দেখে
না,, যদি দোয়া পড়ে ঘুমায় তাহলে আর কাছে
আসতে পারে না,,
৫) জেগে থাকা অবস্থায়( হস্তমৈথুনের
মাধ্যমে)
,,এসময় জ্বীন রোগির হাত,মস্তিষ্ক পজেস করে
ইন্দ্রিয়তৃপ্তি লাভ করে,,এটা তখনই বোঝা
যাবে যখন
কেউ আগে থেকেই গুপ্ত অভ্যাসে লিপ্ত ছিল
কিন্তু তা অল্প পরিমানে,হঠাৎ করে যদি
মাত্রাতিরিক্ত
ভাবে যৌন চাহিদা বেড়ে যায় তাহলে বুঝতে
হবে
আশিক জ্বীনের কাজ এটা,,আর আসক্তকারি
যাদুর
লক্ষন হচ্ছে, স্ত্রী বা স্বামীর সংগে
সহবাসের
ঘন ঘন ইচ্ছা জাগা, কিন্তু যারা অবিবাহিত
তারা যদি আশিক
জ্বীন দ্বারা আক্রান্ত হয় তাহলে তাদের যৌন
উত্তেজনা বাড়িয়ে দেয় আশিক জ্বীন,,ফলে
যুবক
যুবতীরা হারামে লিপ্ত হয়,,আর অভিজ্ঞতা
থেকে
পাওয়া যায়:- জ্বীন মানুষের সংগে মিলনের
সময়
যৌনাঙ্গে গরম বাতাসের মত অনুভূত
হয়,,জ্বীনরা
দীর্ঘক্ষণ সঙ্গম করে,,তাই এই সঙ্গমের পরে
মেয়েরা দুর্বল হয়ে যায় খুব,শুকিয়ে যায় অনেক
ধীরে ধীরে,, শরীরে ব্যথা অনুভব করে
অনেক,,এসব লক্ষণ নারী পুরুষ সকলের,,
৬) অবিবাহিত মেয়ের উপর আছর করলে আর
তার
সাথে জ্বীন শারীরিক সম্পর্ক করলে অই মেয়ে
বিয়ে বসতে চায় না,,আর বিবাহিত মেয়ের
সাথে
এরকম কিছু হলে অই মেয়ে স্বামীর সাথে
মিলনের আগ্রহ হারিয়ে ফেলে অনেক সময়,,,
জ্বীন,যাদু,বদনজর,ওয়াসওয়াসা,গুন
াহের কাজ
ইত্যাদি
থেকে বাঁচতে পারে না মানুষ প্রধানত তিন
কারণে:-
সবগুলোই বাবা মার ভুলের কারনে,,
১) সহবাসের সময় দুআ না পড়লে সেই সন্তানের
মধ্যে গুনাহ করার প্রবনতা বেশি থাকে,,জ্বীন
বা যাদু
তাকেই লেগে যায়,,
২) সন্তানকে দুধ খাওয়াতে জানে না
আজকালকার
মায়েরা,,কারণ, অনেকেই বিসমিল্লাহ না বলে
স্তন
বাচ্চার মুখে দেয় আর বাচ্চারসাথে সাথে
থাকে
শয়তান খেয়ে মোটাতাজা হয়ে বাচ্চার উপর
আধিপাত্য
বিস্তার করে,,,
(সেদিন একজনের লেখায় পড়লাম:- খুলনায় এক
মায়ের ৫ ছেলে আলিম,৩ মেয়ে আলিমা,,সেই
মাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমি
আমার
বাচ্চাদের ওজু ছাড়া দুধ পান করাই নাই,,এই
আমলের
কারণে আমার ছেলে মেয়েরা আলিম,,অল্লহু
আ'লাম,,,
৩) জন্মের পর ঠিক সময়ে আকিকা না দেয়া,
আকিকা না
দিলে ঐ সন্তান শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে
বাঁচতে
পারে না,,,
(আল্লাহ তায়ালাই ভাল জানেন)

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন

এখানে ক্লিক করে বই ডাউনলোড করুন