রত্নাদির নাম ও ব্যবহার

ব্যবহারযোগ্য রত্নাদির নাম

আমরা চুনী, চন্দকান্তমণি, প্রবাল, পান্না, পোখরাজ, হীরা, নীলা, গোমেদ ও বৈদুর্যমণি-রত্নকেই শ্রেষ্ঠ বলে জ্ঞান করি । মুক্তাও একটি শ্রেষ্ঠ রত্ন। প্রাচীন শাস্ত্রানুসারে আমি আগে মুক্তা নিয়েই আলোচনা করছি।

মুক্তা

মুক্তার উৎপত্তির স্থান দশটি। এবং এদের নাম অনুসারে মুক্তার বিভিন্ন নাম হয়েছে

তাম্রপর্ণিক মুক্তা- পাণ্ড্য দেশের তাম্রপর্ণী নদীতে সাগরসঙ্গম স্থানে যে মুক্তা সংগৃহীত হয় তাকে তাম্রপর্ণিক মুক্তা বলে। প্রাচীন জ্যোতিষ শাস্ত্রে এই রত্ন মঙ্গলের জন্য ব্যবহারের নির্দেশ দেওয়া আছে।

পাণ্ড্যকবাটক মুক্তা- পাণ্ড দেশের মলয় কোটি নামক পর্বতে উৎপন্ন মুক্তার নাম। এই মুক্তা রাহুর জন্য ব্যবহারের নির্দেশ দেওয়াআছে। 

পাশিক্য মুক্তা- পাশিক্য নদীতে উৎপন্ন মুক্তা। এই মুক্তার ব্যবহার ক্রূর গ্রহদের জন্য ।

কৌলেয় মুক্তা— সিংহল দ্বীপে (বর্তমানে শ্রীলঙ্কা) ময়ূর গ্রামের কুলা নামক নদীতে উৎপন্ন হয়। জ্যোতিষ শাস্ত্রে বলা হয়েছে চন্দ্র ও শনি কূপিত হলে এই মুক্তা ব্যবহার করবেন। 

চার্ণেয় মুক্তা-কেরলের চূর্ণা নদীতে উৎপন্ন। এই মুক্তা চন্দ্র ও বৃহস্পতির প্রতিকারের জন্য ব্যবহার করা হয়।

মাহেন্দ্র মুক্তা- মহেন্দ্র পর্বতের নিকটস্থ সমুদ্রে জাত মুক্তা। এই মুক্তা রবি ও চন্দ্রের প্রতিকারের জন্য ব্যবহার করা হয়।

কার্দমিক মুক্তা- পারস্য দেশের কর্দমানাম্নী নদীতে উৎপন্ন মুক্তা। চন্দ্রের জন্য ব্যবহার করা চলতে পারে।

স্রৌতসীয় মুক্তা- বর্বস সাগরের কূলে স্রোতসী নদীতে পাওয়া যায় এই মুক্তা। চন্দ্র, বৃহস্পতি ও বুধের প্রতিকার হয় এই মুক্তাতে। হ্রাদীয় মুক্তা বর্বর সাগরের কূলে শ্রীঘণ্ট নামক হ্রদে পাওয়া যায়। বিভিন্ন ব্যাধিতে এর ব্যবহার হয়।

হৈমবত মুক্তা- হিমালয় উৎপন্ন হয়। কেতুর প্রতিকারে লাগে । সাধারণত আমি চন্দ্র, বৃহস্পতির প্রতিকারের জন্য মুক্তা ব্যবহার করতে বলি। রক্তচাপ বৃদ্ধি, মস্তিষ্কের উন্মাদনা রোধের জন্য মুক্তা ধারণ করা উচিত।

মুক্তার জন্মস্থান হল (১) শঙ্খ (২) শুক্তি (৩) হস্তীর কুম্ভ, সর্পের মস্তকে প্রভৃতি স্থানে।

মুক্তা আবার অনেক ক্ষেত্রে তেরোটি দোষমুক্ত হয় । যথা— মসূরের আকার যুক্ত, ত্রিকোণাকৃতি, কূর্মাকৃতি, অর্ধচন্দ্রাকার, কঞ্চুকিত, যুগ্মাকৃতি, ছিন্ন খরখরা, মোমবিন্দুযুক্ত, কমণ্ডলু আকার, কপিশবর্ণ, নীলবর্ণল, অস্থানে ছিদ্র। এই মুক্তা কখনো ধারণ করবেন না।

মুক্তার আটটি গুণ- মোটা, গোলাকার, মসৃণ স্থানে থাকতে পারে না, দীপ্তিযুক্ত, শ্বেত, ভারী, স্নিগ্ধ, যথাস্থানে বিদ্ধ । এইরূপ মুক্তাই ধারণ করবেন।

মুক্তার মালা

প্রাচীন শাস্ত্রকারগণ এবং তান্ত্রিক সাধকরা মুক্তার মালাকে পাঁচ ভাগে ভাগ করেছেন। যথা :

(১) শীর্ষক মালা- যে মুক্তার মধ্যস্থলে একটি বৃহৎ মুক্তা ও উভয় দিকে সমানাকৃতি ছোটো ছোটা মুক্তা থাকে তাকে শীর্ষক বলে । রবির ও রাহুর জন্য এই মালা কণ্ঠে পরা শুভ।

(২) উপশীর্ষক মালা যে মালার মধ্যস্থলে একটি বড় মুক্তা এবং উভয় পার্শ্বে সমানাকারে ছোটো ছোটো মুক্তা একটা করে থাকে ও এইরূপ তিনটি ভাগ করে পূর্ণ মালা গ্রথিত হয়, তাকে উপশীর্ষক বলে । বৃহস্পতি ও রবির জন্য এই মালা কণ্ঠে ধারণ করা উচিত।

(৩) প্রকাণ্ডক মুক্তার মালা- যে মালায় মধ্যস্থলে একটি বড় মুক্তা ও উভয় পার্শ্বে সমানাকারে ছোট মুক্তা দু'টি করে এবং এইভাবে পাঁচ পাঁচটি ভাগ করে পূর্ণ মালা গ্রথিত হয়। এইরূপ মালা চন্দ্র ও বুধের জন্য ব্যবহার করা দরকার।

(৪) অবঘাটক মালা - যে মালার মধ্যস্থলে একটা বড় মুক্তা ও উভয় পার্শ্বে সমানাকৃতি কৃশ ও কৃশতর মুক্তা গ্রথিত হয়, তাকে অবঘাটক মালা বলে। চন্দ্র ও শনির জন্য এই মালা ধারণ করতে পারেন।

(৫) তরল প্রতিবন্ধ মালা – যে মালার সব সমানাকৃতি মুক্তা দ্বারা প্রথিত হয়, তাকে তরল প্রতিবন্ধ মালা বলে । চন্দ্র ও বৃহস্পতির জন্য এই মালা ধারণ করবেন।

(৬) ইন্দ্ৰচ্ছন্দ মালা – যে মালাতে ১০০৮টি মুক্তা থাকে, তার নাম ইন্দ্ৰচ্ছন্দ মালা। মঙ্গলের জন্য এই মালা ব্যবহার করবেন ।

(৭) বিজয় ধ্বজ মালা – যে মালার ভেতর ৫০৪টি মুক্তা থাকে, তাকে বিজয় ধ্বজ মালা বলে। বুধ ও রাহুর জন্য এই মালা পরবেন।

(৮) দেবচ্ছন্দ মালা- যে মালাতে ১০০টি মুক্তা থাকে, তাকে দেবচ্ছন্দ মালা বলে। রবির জন্য এই মালা ধারণ করা উচিত । 

(৯) রশ্মি কলাপ- যে মালাতে ৫৪টি মুক্তা থাকে, তাকে রশ্মি কলাপ বলে। মঙ্গল ও চন্দ্র বিরূপ হলে এই মালা ধারণ করবেন।

(১০) অর্ধহার যে মালাতে ৬৪টি মুক্তা থাকে, তাকে অর্ধহার মালা বলে। শুক্র ও রাহুর জন্য এই মালা ধারণ করবেন।

(১১) গুচ্ছহার – যে মালাতে ৩২টি মালা থাকে, তাকে গুচ্ছমালা বলে। চন্দ্র ও শুক্রের জন্য এই মালা ব্যবহার করবেন।

(১২) নক্ষত্রমালা – ২৭টি মুক্তা দিয়ে যে মালা গ্রথিত হয়, তাকে নক্ষত্রমালা বলে। বুধের জন্য এই মালা ধারণ করবেন-চন্দ্রের দশাতে।

(১৩) অর্ধগুচ্ছমালা— ২৪টি মুক্তা দিয়ে গ্রথিত এই মালা। শুক্র, চন্দ্র ও বৃহস্পতি একত্রে বিরূপ হলেও বৃহস্পতির দশায় এই মালা ধারণ করুন।

(১৪) মাণবক মালা- ২০টি মুক্তা দিয়ে গ্রথিত মালাকে মাণবক মালা বলে। চন্দ্ৰ কুপিত হলে এই মালা ধারণ করবেন।

চুনী

চুনীর অপর নাম মণি। অবশ্য অথর্ববেদে এবং পুরাণগুলিতে এমন কি মহাভারতে মণি বলতে নানাবিধ রত্নকেই বুঝিয়েছে। জ্যোতিষ ও তন্ত্র-জ্যোতিষ গ্রন্থে চুনীই প্রকৃত মণি। রবির প্রতিকারে চুনী ব্যবহার হয়।

মণি তিন প্রকার। যথাঃ— 

(১) কৌট— মলয় সাগরের নিকটবর্তী কোটি নামক স্থানে যে মণি জন্মায়, তাকে কৌটমণি বলে ।

(২) মালেয়ক – ময়ল দেশের কর্ণীবনাখ্য পর্বতমালাতে যে উৎপন্ন হয়, তাকে বলে মালেয়ক।

(৩) পারসমুদ্রক - শ্রীলংকা ও ব্রহ্মদেশে যে মণি উৎপন্ন হয়, তাকে পারসমুদ্রক মণি বলে। 

এই মণিই সর্বশ্রেষ্ঠ। জাতিভেদে মণি পাঁচ প্রকার। - 

(১) সৌগন্ধিক- ঈষৎ নীলাভাযুক্ত রক্তবর্ণ পদ্মের মতো বর্ণময় মণিকে সৌগন্ধিক বলে । 

(২) পদ্মরাগ – পদ্মের বর্ণযুক্ত মণিকে পদ্মরাগ বলে । একে পান্নাও বলা হয়। প্রকৃত পদ্মরাগ মণির রতি বর্তমানে ৫৫ থেকে ৬০ হাজার টাকা ।.

(৩) অনবদ্য রাগ-কুঙ্কুম বর্ণ মণিকে বলে ।

(৪) পারিজাত পুষ্পক – পারিজাত পুষ্পকের রং যুক্ত অপরাজিতা মণি বলে ।

(৫) বালসূর্যক – উদীত সূর্যের বর্ণ। এই মণিই শ্রেষ্ঠ। এর রতি বর্তমানে ৭/৮ লক্ষ টাকা।

বৈদূর্যমণি

বৈদূর্যমণি আট প্রকার। যথা— 

(১) উৎপল বর্ণ— লাল পদ্মের বর্ণযুক্ত। 

(২) শিরীষ পুষ্পক – শিরীষ কুসুমবর্ণ যুক্ত। 

(৩) উদবর্ণ জলের মতো স্বচ্ছবর্ণ । 

(৪) বংশরাগ—–বেণুপত্রের বর্ণ । 

(৫) শুকপত্র বর্ণ—শুকপাখির ডানার বর্ণযুক্ত। 

(৬) পুষ্যরাগ—হরিদ্রার বর্ণ । 

(৭) গোমূত্রক-গোমূত্রের বর্ণযুক্ত। 

(৮) গোমেদক—গোরোচনার সমান বর্ণযুক্ত।

বৈদূর্যমণি-কেতুর প্রতিকারের জন্য ব্যবহার হয়। এবং গোমেদ রাহুর প্রতিকারের জন্য ব্যবহার হয়।

ইন্দ্ৰনীল জাতীয় মণি আট প্রকার। যথা -

(১) নীলাবলীয় :— শ্বেত হলেও নীল ধারায় তরঙ্গিত বলে এই নাম।

(২) ইন্দ্রনীল—ময়ূর পুচ্ছের বর্ণযুক্ত। 

(৩) কলায় পুষ্পক—কলায় পুষ্পের বর্ণ বিশিষ্ট। 

(৪) মহানীল-ভ্রমর বর্ণ। 

(৫) জাম্বভাব-জম্বু ফলের বর্ণযুক্ত। 

(৬) জীমৃতপ্রভ— মেঘের বর্ণ। আষাঢ় মাসের মেঘের রং যুক্ত।

(৭) স্রবধ্য-জল প্রবাহের রশ্মিযুক্ত। শনিগ্রহ প্রতিকারের জন্য ইন্দ্রনীল রত্ন ব্যবহার করা হয়।

স্ফটিক

স্ফটিক জাতীয় মণি চার প্রকার। যথা (১) শুদ্ধস্ফটিক নিবিড় শুভ্র বর্ণ। (২) মূলাটবর্ণ—–তক্রবর্ণ। (৩) শীতবৃষ্টি জ্যোৎস্না ধবলিত বর্ণ৷ এই মণিকে আমি চন্দ্রকান্ত মণি বলি। এবং এই মণি চন্দ্রের প্রতিকারে ব্যবহার করা উচিত। সূর্যকান্ত-সূর্যকরযুক্ত। এই মণি রবির জন্য ব্যবহৃত হয়।


মণির গুণ

মণির গুণ ১১ রকম। যথা- (১) ছয় কোণ যুক্ত (২) চারি কোণ যুক্ত (৩) গোলাকার (৪) গভীর বর্ণযুক্ত (৫) অবয়বযুক্ত (৬) নির্মল (৭) মসৃণ (৭) ভারী (৯) দীপ্তিমান (১০) অন্তর্গত প্রভ বা মধ্যে চঞ্চল রশ্মিযুক্ত (১১) প্রভানুলেপী- যা নিজ প্রভা দ্বারা নিকটের বস্তুকে দ্যুতিময় করে।

মণির দোষ

(১) মন্দরাগ বা হালকা রং যুক্ত (২) দ্যুতিহীন (৩) খর্খরা ও ছোটদানাযুক্ত (৪) পুস্পছিদ্র বা বিন্দুরূপ বহুছিদ্র ৷ (৬) খণ্ড বা কাটা (৬) অস্থানে বিদ্ধ (৭) দাগী বা রেখাযুক্ত ।


উপমণির নাম

(১) বিমলক (শ্বেত হরিৎ) (২) সম্যক্ (নীল) (৩) অঞ্জনমূলক (নীল কালো) (৪) পিত্তক্ (গো-পিত্তের মতো রং) (৫) সুরভক্ (শ্বেতবর্ণ) (৬) লোহিতাক্ষ (বাইরে লাল ও মধ্যে কালো) (৭) মৃগাশ্মক (শ্বেতকৃষ্ণ বর্ণ) (৮) জ্যোতীরসক (শ্বেত-রক্ত।) (৯) মৈলেয়ক্ (হিঙ্গুলকের রংযুক্ত) (১০) আহিচ্ছত্রক (ব্যাঙের ছাতার রং) (১১) কূর্প—যাতে ছোট ছোট বিন্দু (১২) প্রতিকূৰ্প-দাগী (১৩) সুগন্ধিকূর্প (১৪) ক্ষীরপক (১৫) শুক্তিচূর্ণক (১৬) শিলাপ্রবালক (১৭) পুলক্ (মধ্যে কৃষ্ণবর্ণ) (১৮) শুক্রপুলক (মধ্যে শুভ্র)।

এগুলোকে কাঁচ মণিও বলা চলে। বাজারে এখন এইসব মণি ছেয়ে গেছে। এগুলো নিকৃষ্ট ধরনের রত্ন। ব্যবহার না করাই উচিত।

১. কৌটিলীয় অর্থশাস্ত্রে এই সব মণির নাম আছে।

হীরা

হীরার সংস্কৃত ও বৈদিক নাম হীরক ও বজ্র। এই রত্ন অতি দুর্লভ এবং মূল্যবান। খাটি হীরার রতি এখন ৪০/৫০ হাজার টাকা।

হীলা ছয় প্রকার। যথা- (১) সভারাষ্ট্রক-বিদর্ভদেশে সভারাষ্ট্র নামক স্থানে পাওয়া যায়। (২) মধ্যমমরাষ্ট্রক- কোশলদেশে মধ্যমরাষ্ট্র নামক স্থানে মেলে। (৩) কান্তীর রাষ্ট্রক-কাশ্মীরে উৎপন্ন (৪) শ্রীটনক-শ্রীকটন নামক পর্বতে উৎপন্ন। (৫) মণিমণ্ডক উত্তরাপথে মণিমণ্ডক নামক স্থানে উৎপন্ন। (৬) ইন্দ্ৰবাণক কলিঙ্গদেশের ইন্দ্রবাণ নামক খনিতে পাওয়া যায়।

বর্তমানে দক্ষিণ ভারতে গোলকুণ্ডার খনিতে ও দক্ষিণ ভারতের নদীর পাড়ে পাড়ে হীরা মেলে। প্রাচীণ গ্রন্থসমূহতে বলা হয়েছে যে জলপ্রবাহ, খনি ও গজদন্তের মূল দেশে হীরার সন্ধান পাওয়া যায়। শুক্রগ্রহের জন্য হীরা রত্ন ধারণ করা হয়।

হীরার বর্ণ

হীরার বর্ণ নানা প্রকার। যথা (১) মার্জারাক্ষক (বিড়ালের নেত্রের মোত) একে ক্যাটস্ আই বলা চলে।১ (২) শিরীষপুষ্পক (৩) গোমূত্রক (৪) গোমেদক (৫) শুদ্ধস্ফটিক (৬) মুলাটীপুষ্পকবর্ণন (৭) দ্যুতিবর্ণ। তবে, মোটা স্নিগ্ধ ভারী অভেদ্য সমান কোণ যুক্ত কাংস্যাদি পাত্রে লেখাদির উৎপাদক তর্কুভ্রামি অতি দীপ্তমান হীরক সর্বদা ব্যবহার করবেন।

প্রবাল

প্রবালের উৎপত্তিস্থান দু'স্থানে এই তথ্য দিয়েছেন প্রাচীন পণ্ডিতগণ। অবশ্য বর্তমান পৃথিবীতে অনেক স্থানেই প্রবালের সন্ধান পাওয়া গেছে।

(১) আলকন্দক- ম্লেচ্ছ দেশের অলকন্দ নামক সমুদ্রবর্তী প্রবাল দ্বীপের প্রবাল। (আমার মনে হয় অলকন্দ সমুদ্র বলতে আটলান্টিক 'ভারতমহাসাগরের পূর্বস্থল ও প্রশান্ত মহাসাগর এবং ভূমধ্যসাগর বোঝায়।)

(২) বৈবণিক- যবনদ্বীপের বিবর্ণ নামক সমুদ্রতে উৎপন্ন।

প্রবালের বর্ণ

(১) রক্ত বর্ণ প্রবাল- গাঢ় রক্তের মতো বর্ণযুক্ত এই প্রবাল। (২) পদ্মরাগ প্রবাল- লাল পদ্মের সমান বর্ণযুক্ত প্রবাল।

প্রবাল যতো উজ্জ্বল ও মসৃণ হবে ততই ভালো। কিন্তু কৃমিজগ্ধ, - দীপ্তিহীন, কর্কশ প্রবাল ব্যবহার করবেন না। মঙ্গল গ্রহের জন্য প্রবাল ব্যবহার করা হয়।

Post a Comment

أحدث أقدم

এখানে ক্লিক করে বই ডাউনলোড করুন