জ্বীন হাজির করার সহজ ও সর্বশ্রেষ্ঠ উপায়

জ্বিনকে বশীভূত বা অনুগত করিবার তদবীর

জিন ডাকার দোয়া,   জিন পরী হাজির করার দোয়া,   জ্বীন হাজির করার সহজ ও সর্বশ্রেষ্ঠ উপায়,   জিন ডাকার উপায়,   জিন হাজির করার বই pdf,   জিন তাড়ানোর দোয়া,   পরী হাজির করার সহজ উপায়,   সূরা জিন পড়লে কি হয়,


এই কাজটি সমাধা করা খুবই ভিতিজনক ও দুঃসাহ ব্যাপার। .. যাহাদের সাহস কম এবং ভীরু প্রকৃতির লোক, তাহারা ভুলেও এই কাজে হাত দিবে না। যাহারা অত্যধিক সাহসী এবং মনোবল প্রচুর তাহারাই শুধু এই আমল করিবে। যে কোন চন্দ্র মাসের প্রথম বৃহস্পতিবার দিন গত রাত্রে এশার নামাজের পরে একটি পবিত্র কামরার ভিতর জায়নামাজের উপর বসিয়া প্রথমেই বিসমিল্লাহ শরীফ একশতবার পাঠ করিয়া স্বীয় শরীরে ফুঁক দিবে এবং উভয় হাতের তালুতে ফুক দিয়া তিনটি তালি দিয়া উভয় হাত দ্বারা সর্বশরীর মুছিয়া নিজ শরীরকে বন্ধ করিয়া লইবে।

অতঃপর এগার মরতবা দরূদ শরীফ পাঠ করিবে। তরপর বিছমিল্লাহর সহিত সূরায় জ্বিনের প্রথম পাঁচ আয়াত সাত মরতবা পাঠ করিবে। অতঃপর আয়াতুল কুরসী সাতবার পাঠ করিবে। তারপর চারকুল প্রত্যেকটি সাতবার করিয়া পাঠ করিবে। যথা- সূরা কাফিরুন সাতবার, সূরায় এখলাছ সাতবার, সূরায় ফালাক্ব সাতবার ও সূরায় নাছ সাতবার। ইহার পুনঃ পর দুরূদ শরীফ পাঠ করিবে। এগারবার


এই আমল শুরু করিবার দিন হইতে প্রত্যহ একই স্থানে একই সময় = ধারাবাহিকভাবে চল্লিশ দিন পর্যন্ত উপরোক্ত আমেল করিতে হইবে। এই আমল করিবার সময়ের ভিতরে আমল ব্যক্তি মাছ, গোশত, ডিম ইত্যদি খাইবেনা শুধু নিরামিশ খাইবে। এই আমল চল্লিশ দিন পুরা করিবার পরের দিন রাত্রে ঐ একই সময় ঐ একই স্থানে বসিয়া উপরোক্ত আমল শেষ করতঃ একশতবার সূরায় এখলাছ পাঠ করিয়া আল্লাহ তায়ালার দরবারে নিজের মনোবাঞ্চা সম্পর্কে দুই হাত তুলিয়া মোনাজাত করিবে।

কিছু সময়ের ভিতরে জিন সম্প্রদায়ের তরফ হইতে তিনজন জ্বিন উপস্থিত হইয়া আমেল ব্যক্তিকে সালাম দিয়া বলিবে যে, আমরা আমাদের জ্বিন জাতির সকলের পক্ষ হইতে আপনাকে এই সংবাদ বলিতে আসিয়াছি যে, আপনি আমাদের ভক্তি ভাজন ও গুরুজন মাত্র। আমরা আপনার যখন যে কোন হুকুম হইবে উহা যথাযথ পালন করিতে প্রস্তুত আছি। সুতরাং আমাদের মধ্যে যখন যাহাকে আপনার কাজের জন্য প্রয়োজন হইবে, তখনই তাহাকে ডাকিলে, সঙ্গে সঙ্গে সে উপস্থিত হইবে। এই প্রকারে জ্বিন জাতিকে বশীভূত করিয়া লইতে পারিলে, আমেল ব্যক্তি তাহার ইচ্ছামত যে কোন সময় যে কোন বিষয় জানিয়া লইতে পারিবে এবং যে কোন জিনিষ লাভ করিতে পারিবে। তবে কোন সময় অন্যায় কিছু আবদার করিবেনা ইহাতে হীতে বিপরীত হইতে পারে। যে সমস্ত কাজ মানুষের পক্ষে করা সম্ভব নয় তাহা অশরীরি জ্বিনে 'অতি অল্প সময়ের ভিতরে করিয়া দিতে পারে। যদি আমেল ইচ্ছা করে যে, পাঁচশত মাইল বা হাজার মাইলের দূরের খবর জানিবে, তবে উহা জ্বিনের মাধ্যমে কয়েক মিনিটের ভিতরে জানিতে পারিবে। জ্বিনের দ্বারা প্রয়োজনমত বহু আশ্চর্য রকমের কার্যাদি করা অতি সহজ ব্যাপার।

জ্বিনের বাদশাহকে হাজির করিবার প্রথম তদবীর

জ্বিনের বাদশাকে উপস্থিত করিয়া তাহার নিকট হইতে কিছু জানিবার ইচ্ছা হইলে, প্রথমে উহার যাকাত স্বরূপ নিম্নোক্ত দোয়াটি এক লক্ষ পঁচিশ হাজার বার পাঠ করিবে, তারপর একটি সুন্দর স্বাস্থ্যবান নাবালগ ছেলেকে গোছল করাইয়া উত্তম পোষাক পরিধান করাইয়া ভাল খুশবুদার আতর মাখাইয়া লইবে। তারপর ছেলেটির ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলির উপরিভাগের নখের উপর কাজল মাখিয়া কাল করিবে। অতঃপর বালকটিকে আমেলের সম্মুখে বসাইয়া নিম্নের দোয়াটি অসংখ্যবার পাঠ করিতে থাকিবে। এবং ছেলেটিকে নখের উপর নজর রাখিতে বলিবে। এই ভাবে দোয়া পাঠ করিতে করিতে যখন জ্বিনের বাদশাহ ছেলেটির নখের ভিতরে হাজির হইবে তখন এসেম বা দোয়াটি পাঠ করা বন্ধ করিবে এবং ছেলেটির মাধ্যমে জ্বিনের বাদশাকে ছালাম দিবে। এরপর জ্বিনের বাদশার নিকট যাহা জানিবার বা বলিবার তাহা জিজ্ঞাসা করিবে। ইনশাআল্লাহ দ্বিনের বাদশা ঠিক ভাবে উত্তর দিবে। তবে বাদশার সাথে কোন রকম বেয়াদবী করিবেনা। জিন সাধনা মন্ত্র এইঃ

উচ্চারণ : আল্লাহুচছামাদু ইয়া মুহাম্মাদু মাদাদী

Post a Comment

أحدث أقدم

এখানে ক্লিক করে বই ডাউনলোড করুন