প্রথম ভাগ
(১)
দেহ বন্ধন মন্ত্ৰঃ
দোওয়া আয়তল কুরছি বন্ধন কোরাণ,
বাহিরে ভিতরে হোক ছোবহান,
লোহা কি ঘর, তাম্বেকা কেওয়াড়,
সামনে ছাড়ি, পয়গম্বর কা বাড়ী,
আমার শরীরের, দিনের চারি প্রহর,
রাতের চারি প্রহর কিছু রাহি দেখি খালি,
বাহাক্কে হক লা-এলাহা ইল্লাল্লাহু মোহাম্মাদুর রাছুলুল্লাহ।
এই মন্তরটি যে কেহ রোজ ফজরে তিনবার পড়িয়া আপন গায়ে ফুক দিবে তাহার উপর রাতদিন আল্লহ তায়ালার রহমত বরষিবে। সে কখন কোন ধোকয় পড়িবে না । দেও, পরী,ভুত, পেত্নী, ডাইন, যোগিনী তাহা দেখিয়া সকলে ভয়েতে ভাগিবে, কখনও তাহাকে সাপ, বিচ্ছু, শৃগাল, কুকুর কামড়াইবে না এবং তাহার উপর বজ্রাঘাত পড়িবে না।
দোছরা বন্ধনঃ
নাক বন্ধন, চক্ষু বন্ধন, হাত বন্ধন পা
আড়ে দিগে বন্ধন করি ষোল কোশ জুড়ি,
দোহাই আল্লার কেরামন সাক্ষী থেক তুমি,
ভুত প্রেত ডাইন যোগিনী দেও পরী
কাছে আসে যত জন,
নাহি যেন কাছে আসে বন্ধ যতক্ষণ,
রাত দিন অষ্ট প্রহর বান্ধিলাম আমি,
দোহাই আল্লার কাতেবিন সাক্ষী থেক তুমি,
বাহাক্কে হক লা এলাহ ইল্লাল্লাহ, মোহাম্মাদুর রাছুলুল্লাহ
এই দেহ বন্ধনটি যে কেহ মগরেবের সময় প্রতি রোজ তিনবার পড়িয়া আপনার ওজুদে কিংবা অপর কোন লোকের উপর ফুক দিলে রাত দিন চব্বিশ ঘণ্টার ভিতরে তাহার কোন প্রকার আফত বালাই ঘটিবে না ছহি ছালামতে থাকিবে।
(৩)
তেছরা বাড়ী বন্ধন
ঘর বন্ধন, দোর বন্ধন, উঠান বন্ধন আর,
বন্ধন করিনু আমি নামেতে আল্লার,
জেবরাইল, মেকাইল, এছরাফিল আর,
আজরাইল আল্লার গোলাম হুকুমান বদ্দার,
বাড়ীর চারি কোণে ইহাদের রাখিয়া মৌজুদ,
আল্লা ওনবীর নামে ভেজিয়া দরুদ, বন্ধন করিনু আমি
( ফলনার) বাড়ী, মেহের করিবে
আল্লা আপে পাক বারি,
এ বাড়ীর উপরেতে ভূত, প্রেত,
ডাইন, যোগিনী ওে দৈত্য যদি থাকে কেহ,
মারিয়া গোৰ্জ্জের বাড়ী দূর করে দেহ,
এয়া এলাহি মাবুদ করিম রহিম সাবুদ,
বাহাক্কেক হক এলাহা ইল্লাল্লাহ মোহাম্মাদুর রাছুলুল্লাহ।
যাহাদের বাড়ী বন্ধন করিবার বাসনা হইবে তাহারা শনিবার কিংবা মঙ্গল বারে চারিটি কাল ভাড় কিনিয়া আনিয়া ভাড়ের ভিতর সাত পুর (১) গেরামের মাটি আনিয়া ভরিবে। আর শনিবার কি মঙ্গল বারে চারটি লোহার পেরেক কামার দোকান হইতে গড়াইয়া আনিবে ও সাত ঘাটের পানি ও আফুলা সিমুল গাছের শিকড় ঘোড়া লইবে, এই সকল জিনিষ জোটপাট করিয়া চারিভাগ করিয়া চারিটি ভাড়ে ভরিয়া উক্ত মন্তর তিনবার পড়িয়া এক এক ভাড়ের ভিতর ফুক দিয়া মুখ ঢাকন চাপা দিয়া আচ্ছা করিয়া বন্ধ করিবে। আর খানিক সরিষার তৈল ভাড়ের গায়ে মাখাইয়া বাড়ীর চারি কোণে চারি বার আজান দিয়া পুতিয়া দিবে। তাহা হইলে বাড়ী বন্ধ হইয়া যাইবে, সেই বাড়ীর উপরে কখনও ভূত, প্রেত, ডাইন, যোগিনী, জেন, পরী, দৈত্য কাহারও নজর লাগিবেনা। হরেক আফত বালা হইতে আমানে থাকিবে।
করিমপুর, বহরনপুর, জামালপুর, এই রকম ৭টি পুর ।
(৪)
ফিক বেদন ঝাড়ন ৷৷
আল্লার তীর নবিজীর ঢাল তলোয়ার
অমুকের (১) অঙ্গের ব্যথা সব করিবেন পার,
অযুকের অঙ্গে যদি আসিস ফিরে
দোহায় তোর আল্লার শীঘ্র যা ছেড়ে।
যে স্থানে দরদ হইয়াছে সেই স্থানে খানিক লবন সরিষার তৈল দ্বারা মালিশ করিবে এবং উক্ত মস্তর নয়বার পড়িয়া ফুক দিলে খোদার ফজলে আরাম হইয়া যাইবে তাহাতে কিছু সন্দেহ নাই।
(৫)
নজর দোষের পানি পড়া৷
আওল নাম খোদাকা, দুওম নবীর চার ইয়ার,
পাঁচ তন, আয়েত কোরাণ মজিদ,
মন্তর সাহা সুলতানকা পানি পড়া
হর এক বালা কো দফা কারদে খাড়া খাড়া
দোহাই ধৰ্ম্মকা তেরা খোদায়ে পাক মোহাম্মদ রসুল,
আপনে করমছে করলে কবুল।
যাহাদিগের নজর দোষ হইয়াছে তাহারা একটি ঘটি করিয়া পুষ্করিণী কিম্বা নদী হইতে নিশ্বাস বন্ধ করিয়া পানি আনিবে ও উক্ত মন্তর তিনবার পড়িয়া সেই পানি ফুক দিয়া বিছমিল্লা বলিয়া পানি খেলাইবে তাহা হইলে হরেক রকম বদ নজর লাগা আল্লাতালার ফজলে ভাল হইবে।
“অমুকের” শব্দের স্থলে রোগীর নাম হইবে ।
(৬)
ভূত ঝাড়ন ভূত ঝাড়ি, পেড়ি ঝাড়ি, ডাইন
যোগিনী দেও ঝাড়ি, পরী ঝাড়ি
ঝাড়ি ত্রিনয়নী যা ভৃত পালা ভৃত
দেল ছেড়ে যা, নহে তোর মুণ্ড
ছিড়ে করে দিব ঘা, দাও সাফা কর
রফা, এলাহি পাক বারি দোহাই
তোর ধর্ম্মের শীঘ্র যা ছাড়ি।
বেঁটে আস-সেওড়া গাছের তিনটি ছোটং ডাল ভাঙ্গিয়া আনিবে ও সেই ডাল রোগীর গায়ে আস্তে২ বুলাইবে আর উক্ত মন্তর পড়িয়া রোগীর গায়ে ফুক দিবে। এইরূপ নিয়মে ৪১ বার পড়িতে হইবে ২।৩ দিন এইরূপ করিলে খোদার ফজলে চাঙ্গা হইবে।
(৭)
ভূত ঝাড়ন।
রাজার বান্দ২, পীর সাহা মাদর কা
বড়া বান্দার, গুলি বান্দ তীর
বান্দা বন্দুক বিবীর বান্দ, তলোয়ার
কি ধার বান্দ, ছুরি আওর কাটারী
বান্দ, নজর আওর ডিট বান্দ, যাদু
ছেহের বান্দ, কিয়া কারারা বান্দ,
মারিও মাছান বান্দ, টুনা আওর
টামার বান্দ, ডাইন আওর ডাকান
বান্দ, রাহা আওর ঘাট বান্দ,ভুত
আওর প্রেত বান্দ, কাহেছে বান্দ
হজরত ছোলেমান কি কারামতছে
বান্দ, পাঁচো পার কি কারামাতছে
বান্দ, লোহ আওর কোরাণছে বান্দ
মোহাম্মাদুর রাছুলুল্লা।
বা হাঙ্কে লা-এলাহা ইল্লাল্লাহ
ইহার সাধন কার্ত্তিক মাসের আমাবস্যা রাত্রে গোছল করিয়া ভিজা কাপড়, লাঙ্গা ছেরে সরিষার তৈলের নুতন প্রদীপ জ্বালাইয়া তাহাতে দুইটি গেটে কোড়ি দিয়া ১০১ বার মন্ত্র পড়িয়া লইবে, তাহা হইলে সাধন হইয়া যাইবে। পরে যখন ভূতে ধরা রুগীকে ঝাড়িতে যাইবে, উক্ত গেটে কোড়ি দুইটা লইয়া যাইবে এবং ঐ দুইটা কোড়ি ঐরূপ প্রদীপে ডাল্জিা রুগীর হস্তে একটা লবঙ্গ দিয়া ঐ হস্ত মজবুত করিয়া বাম হাতে ধরিবে। আর ডান হাতে মাথা হইতে ঝাড়িয়া ঐ লবঙ্গের নিকট আনিয়া মাথায় ফুকিবে। ভূত উক্ত লবঙ্গে নামিয়া আসিবে এবং ওজনে ভারি লগিবে।
[৮]
ভূতে ধরার দুছরা ঝাড়ন।
মন্তর২ মহা মন্তর করিনু জাপন
আল্লা ও নবীর নাম করিয়া স্মরণ
বাউ ঝাড়ি বাতাস ঝাড়ি মন্তরের জোরে
দোহাই তোর খোদার, শীঘ্র যা ছেড়ে
থোড়া ঘুটের ছাই রুগীর পীঠে মালিস করিবে। আর উক্ত মন্তর আধ ঘণ্টা পড়িবে তাহা হইলে ভুত ভাগিয়া যাইবে ৷ আর দুই একটি ঔষধ হস্তে কিম্বা কোমরে বাঁধিয়া দিবে যাহাতে ভূত ভাগিয়া যায়।
বেঁটে আস-সেওড়ার মূল কিঞ্চিত মস্তকে কিম্বা কোমরে বান্ধিয়া দিলে ভূত নিকটে আসিতে পারে না এবং শনি কিম্বা মঙ্গল বারে চুলার মাটি একটি তামার মাদুলিতে পুরিয়া হস্তে ধারণ করিলে জেন পরী ভূত নিকটে আসিতে পারে না। আর তেসিরা মনসা গাছের সামান্য শিকড় একটি রূপার মাদু লিতে পুরিয়া কোমরে ধারণ করিলে ভুত নজদিকে আসে না আর ভূতুড়ে রুগীর নাসিকায় লঙ্ক। হলদির ধুঙ। দিলে অতি ত্বরায় ভূত ভাগিয়া যায়।
(৯)
পেতনী ছাড়ান।
ঝাড়ন পেতনী মারন পেতনী, প্রেত
ঝাড়ন মুখে ছাই, মারি রাখ কার টান
হুহুঙ্কারে মারি, পেতনী শীঘ্র যা
দেশ ছাড়ি, বার দেগার এর অঙ্গে
যদি আসিস ফিরে, দোহাই তোর
ধর্ম্মের আল্লাজির কিরে *
কোন লোককে যদি পেতনী ধরে তাহা হইলে তার হাত পা হইতে মাথা পর্যন্ত বেশ করিয়া চুলার মাটি মাখাইয়া পরে উক্ত মন্তর ২২ বার পড়িয়া গায়ে ফুক দিবে এবং রুগীর দুইটি কান মলিয়া ছাড়িয়া দিবে। আর নীচের লিখিত এই ঔষধটি রুগীর হস্তে বান্ধিয়া দিবে, মাছ কোটা পুরাতন বটির গা ভাঙ্গা কিংবা গরুর দঁাত বাঁধিয়া দিবে তাহা হইলে পেতনী ভাগিয়া যাইবে। আর শ্মশানের ও কবরের মাটি আনাইয়া যাহারা ধারণ করিবে তাহাদের নিকট পেতনী আসিতে পারিবে না।
(১০)
নজর দোষ ভাল হইবার ঝাড়ন
ছোলেমান নবী আর হুদ পরগম্বর
মোহাম্মদ নবী আর ইছা পয়গম্বর, চারি
ধারে চারি নবী রাখি চৌকিদার, এর
অঙ্গের বাউ ঝাড়ি বাতাস ঝাড়ি
কাটি ছুরির ধারে, কার আজ্ঞে আল্লা ও
নবীর আজ্ঞে নাহি আসিস ফিরে।
যাহাদিগকে দেও, পরী, জেন আদি নজর দোষ হইয়াছে তাহাদের উক্ত মন্ত্র নয়বার পড়িয়া ফুক দিবে এবং নজর আদি দফা হইবার ঔষধ কোমরে বান্ধিয়া দিবে, তাহা হইলে খোদার ফজলে আফত বালাই দূর হইয়া যাইবে ।
(১১)
নজর দোষ দফা হইবার ঔষধ।
রাম তুলসীর মূল ও বাজপড়া তালগাছের মূল একটি লোহার মাদুলিতে পুরিয়া আপন কোমরে বান্ধিলে হরেক রকম নজর লাগা ভাল হইয়া যাইবে তাহাতে কিছু সন্দেহ নাই।
(১২)
হরেক রকম নজর দোষ ভাল হইবার জলসার ৷
জলসার২ মহা জলসার আল্লা ও নবীর
করি সোরসার, মারি হাঁক করি ফাক্ব
আফত আর বালা, দোহাই তোরে।
খোদার লাগে, শীঘ্র ছেড়ে পালা
নিশ্বাস বন্ধ করিয়া আঘাট হইতে এক ঘটি পানি আনিবে, পরে উক্ত মন্ত্র নয়বার সেই পানিতে পড়িয়া যাহাকে নজর লাগিয়াছে তাহাকে পেলাইয়া দিবে। আল্লাহতালার ফজলে নজর লাগা ভাল হইয়া যাইবে তাহাতে কোন সন্দেহ নাই।
(১৩)
ডাইনের নজর লাগা ভাল হইবার ঝাড়ন ।
পীর ঝাড়ে, পয়গম্বর ঝাড়ে, ঝাড়েন
দেওয়ান, তার পরে ঝাড়ে যে
আল্লাহ ছোবহান। শীঘ্ৰ কাটিয়া
যা নজর ডাইনির, দোহাই যে তুঝে
লাগে আল্লাহ গনির।
কাহার উপর নজর দোষ হইলে ওজুদে উক্ত মন্তর সাতবার পড়িয়া ফুক দিবে এবং ঐ মন্তর পানিতে দম করিয়া রুগীকে পেলাইয়া দিবে, তাহা হইলে ডাইনের দৃষ্টি লাগা ভাল হইয়া যাইবে ।
(১৪) বিছের বিষ ঝাড়ান
শোনরে বিছের বিষ কহি আমি তোরে
বিছমিল্লা আল্লার নাম দোহায় লাগে তোর,
নাহি যদি নাবিস তবে আল্লাজির
দোহাই লাগে তোরে ।
যে স্থানে বিছে দংশন করিয়াছে সেই স্থানে পাথুরে কয়লা পিষিয়া মালিস করিবে এবং উক্ত মন্তর পড়িয়া ঐ স্থানে ফুক দিবে। এইরূপ প্রকারে খোড়া ঘড়ি ঝাড়িলে বিছার বিষ নিবারণ হইয়া যাইবে।
২। থোড়া পানির সাথে তাজা ছাগলের লাদী ঘষিয়| আঘাতিত স্থানে লাগাইয়া দিবে, তাহা হইলে অতি সত্তর আরোগ্য হইবে তাহাতে সন্দেহ নাই।
(১৫)
সাপের বিষ ঝাড়ন ।
সাপ বিষ ঝাড়ি আমি মন্তরের জোরে
চাপড় মারিয়া আমি রুগীর পিট পরে,
যা বিষ শীঘ্র যা উড়ে, নাহিক আসিস ফিরে,
দোহাই তোর ধর্মের এলাহির কিরে।
যাহাকে সাপে কামড়াইয়াছে, তাহার পিঠে গুণিণ হাত রাখিয়া উক্ত মন্তর পাঠ করিয়া ফুক দিবে এবং চাপড় মারিবে। এই প্রকারে ৪১ বার ঝাড়িলে বিষ নামিয়া যাইবে। আর দুই একটি ঔষধ ঘা মুখে দিবে, তাহাতে বিষ শীঘ্র নামিয়া যাইবে। আফুলা কাটা নটিয়া গাছের শিকড় সাপের গায় ঠেকাইলে সাপ মাথা তুলিতে পারেনা, ঐ গাছের আধ পোয়া রস রুগীকে পেলাইয়া দিলে ও তাহার সিটা ঘা মুখে লাগাইলে অতি সত্তর বিষ নাশ হয়। কেবল একবার মাত্র বমি হইবে।
(১৬) -
সাপের বিষ ঝাড়ন।
সোনার বরণ, আহারে রতন, সাপে কাটিয়াছে,
নীল রঙ্গ হয়ে তোর দেহ জ্বরে গেছে,
শোনরে জহর, না হও আছর,
ইহার উপর ফিরে নাহি চড়িস বিষ কহি বারে বারে,
দোহাই তোর ধর্মের এলাহির কিরে।
রুগীর যে স্থানে সপে কাটিয়াছে সেই স্থানে উক্ত মন্ত্র পাঠ করিয়া ফুক দিবে এবং ঈসান মূল জড়ি ঐ স্থানে বুলাইবে, তাহা হইলে বিষ অতি সত্তর নামিয়া যাইবে আর দুই একটি মাতব্বর ঔষধ ঘায়ের মুখে দিলে তাহাতে বিষ শীঘ্র নাশ হয়।
( ১৭)
পানি পড়া
বিছমিল্লা বলিয়া মুখে তুলে লিনু বাণ,
বড় বড় দেবতার নাহি সহে টান ।
ধর্মের বলে বাণ তুলে লিনু হাতে,
বামদিকে বাণ যেন তীর মত ছোটে।
জোরেতে লাগিল বাণ পৃষ্ঠে শয়তানের,
দেও দৈত্য ভাগে সব শব্দ হুঙ্কারের।
একে পড়ে পানি আল্লার আহাদ,
দুয়ে পড়ে পানি দ্বিতিয়ার চঁাদ ।
তিনে পড়ে পানি দীন পয়গম্বর,
চারে পড়ে পানি চাহারাম ইয়ার।
পাঁচে পড়ে পানি পাক পাঞ্জাতন,
ছয়ে পড়ে পানি পীর সোনাতন।
সাতে পড়ে পানি আছমান হপ্তম,
আটে পড়ে পানি বেহেস্ত অষ্টম।
আমার এই মস্তর যদি নড়ে চড়ে,
আল্লার আরস তবে জমিনেতে পড়ে।
বা হক্কে লা-এলাহা ইল্লাল্লাহ **
এই যস্তর তিনবার এক গেলাস পানির উপর পড়িবে, পরে যাহাকে দেও ভুত শয়তানের আছর হইয়াছে তাহাকে পেলাইয়া দিবে৷ খোদার ফজলে ভাল হইয়া যাইবে ৷
( ১৮)
কুকুরের বিষ ঝাড়ন।
কুকুরের বিষ ঝাড়ি মস্তরের জোরে,
যা বিষ শীঘ্র যা এলাহির দোহাই লাগে তোরে।
এই মন্ত্র এক ঘটি পানির উপর তিনবার পড়িবে পরে সেই পানি রুগীকে পেলাইয়া দিবে এবং যে স্থানে রুগীকে কামড়াইয়াছে সেই স্থানে লোহা পোড়াইয়া ছেকা দিবে তাহা হইলে খোদার ফজলে ভাল হইয়া যাইবে।
ঝাপা টেপারির শিকড় এক তোলা আর আতপ চাউলের চেলেনি পানি এক ছটাক। এই দুই জিনিষ এক সঙ্গে বাটিয়া খাওয়াইলে শিয়াল কুকুরের বিষ নাশ হয়।
( ১৯)
ভীমরুলের বিষ ঝাড়ন
বিসমিল্লা বিষ নাই ভীমরুলের,
পানি হয়ে যা বিষ দোহাই জব্বারের।
যেখানে ভীমরুল হুল বিদ্ধ করিয়াছে,সেইখানে থুথু কিম্বা তাজা গোবর দিয়া মালিস করিবে। আর উক্ত মন্ত্র দুই তিনবার পড়িয়া ফুক দিবে, তাহা হইলে জ্বালাযন্ত্রণা ভাল হইয়া যাইবে।
(২০)
যাথা ধরার ঝাড়ন
দোহাই দোহাই দোহাই এলাহির।
আর রে দোহাই দেই হজরত নবীর ৷৷
মাথা ধরা চলে যাহ অমুকের।
কহিতেছি দোহাই দিয়া এলাহি রত্বের ॥
কাহারও মাথা ধরিলে উক্ত মন্তর পড়িয়া ফুক দিবে, আর সরিষার তৈল মাথায় মালিস করিবে । এইরূপে খানিকক্ষণ করিলে মাথা ধরা ভাল হইয়া যাইবে।
(২১)
মাথা ধরার দোছরা ঝাড়ন
আলহামদো ইয়া আল্লা মালেক রহমান।
ফলানার মাথা ধরার করিবে আহছান ॥
যাহাদের মাথা ধরিয়াছে তাহাদের পেসানিতে খানিক সরিষার তৈল দ্বারা মালিস করিবে এবং উক্ত মন্তর পাঠ করিয়া ফুক দিবে। এইরূপ মিনিট ৫।৬ ফুক দিলে ভাল হইয়া যাইবে ।
(২২)
পেটের দরদ হইলে তাহার ঝাড়ন।
বিছমিল্লা ইয়া আল্লা কোরানের ছের।
পেটে ব্যথা ভাল করে দেহ অমুকের ॥
তুমি কুদরতওয়ালা এলাহি করিম।
সবার উপরে আছ তুমিত আজিম ৷৷
লা এলাহা ইল্লাল্লাহু মোহাম্মাদুর রাছুলুল্লাহ
এই মন্তর একঘটি পানি তিনবার দম করিয়া সেই পানি রুগীকে পেলাইয়া দিবে, পেটের তামাম দরদ খোদার ফজলে ভাল হইয়া যাইবে।
(২৩)
কাহারও জখমে কেহ ভার মারিলে
তাহার ঝাড়ন।
অমুকের ঘায়ে যে মরিয়াছে ভার।
শীঘ্ৰ কাটিয়া যা দোহায় আল্লাৱ ৷৷
আওলেতে ঝাড়ে আল্লা দ্বিতয়াতে নবী।
তৃতীয়াতে করে দম ফেরেস্তারা সবি ৷৷
দোহাই তোর ধর্মের এলাহির কিরে।
অমুকের ভার মারা শীঘ্ৰ যা ছেড়ে ৷৷
যদি কাহারও ঘায়ে কেই ভার মারিয়া থাকে, তবে উক্ত মন্তর তিনবার পাঠ করিয়া রুগীর ঘায়ে ফুক দিবে এবং একঘটি পানিতে এই মন্তর পাঁচবার পড়িয়া রুগীর যা ধুইয়া দিবে। এইরূপ দুই তিন দিন করিলে খোদার ফজলে জখম চাঙ্গা হইবে।
( ২৪)
সর্বপ্রকার বাণ কাটান
হারুত মারুত বাণ মৃত্যু বাণ
আর তছমির জোরে আমি করি ছারখার
রাম বাণ গোরুর বাণ আর আওলিয়|
শীঘ্ৰ কাটিয়৷ যা দোহাই কিবরিয়া ॥
বিছমিল্লা ইয়া আল্লা বা হক্কে হক
লা এলাহা ইল্লাল্লাহ ॥
যদি কাহারও উপরে কেহ বাণ মারিয়া থাকে তবে তাহার গায় উক্ত মন্তর সাতবার পড়িয়া ফুক দিবে। আর এক কলসী পানি আনায়ন করিয়া পরে ঐ পানিতে উক্ত মন্তর একচল্লিশ বার দম করিয়া রুগীকে আচ্ছা করিয়া গোছল দেলাইবে তাহা হইলে সকল প্রকার বাণ কটিয়া যাইবে।
(২৫ )
রহমানিঃ
ইয়া মালেকুল রহমান। হরবালা
মছিবতছে মুঝকো দে আছান ৷৷
এই মন্তর তিনবার পড়িয়া আপন ওজুদে ফুক দিয়া যেথা ইচ্ছা সেথা চলিয়া গেলে সে ছহি ছালামতে ঘরে ফিরিয়া আসিবে। পথিমধ্যে তাহার কোনরূপ বিড়ম্বনা হইবেনা।
(২৬)
দুস্মনের দেলে রহম আসিবার ঝাড়ন।
আয় আল্লা রহমানের রহিম।
বান্দার উপরে তুমি বড়ই করিম॥
দেলের মকছেদ পুরা করিবে আমার।
দোঁহাই২ আল্লা দোহাই তোমার ৷৷
এই যন্তরটি তিনবার সরিষার তৈলে দম করিয়া ঐ তৈল মুখে মাখিয়া দুম্মনের নিকট উপস্থিত হইলে দুস্মন মেহেরবান হইবে এবং হাকিমের নিকট যাইলে হাকিম তাহার উপরে সন্তোষ হইবে ।
( ২৭)
কোমরে দরদ হইবার ঝাড়ন
আল্লা২ ইয়া আল্লা আল্লাহ ছোবহান।
ফলানার কোমর ব্যথা করিবে আছান।
কাহারও যদি কোমর ব্যথা হইয়া থাকে তাহা হইলে তাহার কোমরে কিঞ্চিৎ সরিষার তৈল নিক্ষেপ করিয়া হস্ত দ্বারা মালিস করিবে ও উক্ত মন্তর একুশ বার পড়িয়া ফুক দিবে তাহা হইলে খোদার ফজলে ও করমে দরদ ভাল হইয়া যাইবে ।
(২৮)
বেচা কেনা অধিক হইবার মন্ত্র।
আল্লা আজিম আলা ইয়া রক্বানা।
ফলানার দোকানেতে দাও বেচাকেনা ৷
দোহাই দোহাই আলা গকুর রহিম।
কছম তোমার লাগে আরসেল আজিম ॥
নদী হইতে এক ঘটি পানি আনয়ন করিয়া সেই পানির উপর উক্ত মস্তর একচাল্লিশ বার পড়িয়া যাহাদের দোকানে বেচাকেনা না হয় তাহাদের দোকানে প্রত্যহ ফজরে ঐ পানি ছিটাইলে খোদার ফজলে তাহার দোকানে খুব বেচাকেনা হইবে।
(২৯)
বাঝা আওরত হামেলদার
হইবার পানি পড়া ৷
হক আল্লা, হক মৌলা, হক রাউফার রহিম
হক মালেক, হক খালেক, হক ইয়া করিম ॥
হক জক্বার, হক গফ্যার, হক কিবরিয়া।
হক ছোবহান, হক রহমান, হক খোদা ইয়া ॥
হক সাফি, হক কাফি, হক আখেরো।
হক আহাদ, হক ছামাদ, হক ইয়া জাহেরো ॥
হক আলিম, হক হালিম, হক ইয়া সাহিদো।
হক কাবেজো, হক মায়েজো, হক ইয়া মাজিদো
হক মানেও, হক দাফেও, হক ওয়াকিল।
হক খাবিরো, হক বাছিরো, হক ইয়া কাফিল ॥
হক লা এলাহা ইল্লাল্লাহ মোহাম্মাদুর রছুলোল্লাহ
যাহারা বাঝা আওৱত তাহারা যদি একচল্লিশ দিবস ফজরের নামাজ পড়িয়া এক মনে এক ধ্যানে ঘোড়া পানির উপরে উক্ত মন্তর সাতবার পড়িয়া ইয়াদ করিয়া খায় এবং এই মন্তর সাতবার পড়িয়া যদি মোনাজাত করে তাহা হইলে এলাহির ফজল ও করমে অল্প দিনের মধ্যে সুসন্তানের মুখ দর্শন পাইবে ৷৷
(৩০)
বাঝা আওরত গর্ভবর্তী হইবার ঔষধ।
রবিবারে কিঞ্চিৎ শ্বেত আকন্দের শিকড় আনিয়া কাল গরুর দুধ দিয়া বাটিয়া খাইলে বাঝা আওরত গর্ভবতী হয় কিংবা পলাশের মূল গাওয়া ঘৃতের সহিত বাটিয়া হায়েজের সময় খাইলে খোদার ফজলে আওরত গর্ভবর্তী হয়।
(৩১)
প্লীহা রোগ নিবারণ হইবার ঝাড়ন।
বিছমিল্লা ইয়া আল্লা মাতিন,
ইয়া আল্লা, ইয়া হাকিম,
ইয়া আল্লা ইয়া আল্লা, ইয়া গফ্যার, ইয়া আল্লা
হক লা এলাহা ইল্লাল্লাহ মোহাম্মাদুর রাছুলুল্লাহে।
ইয়া মোক্তাদেরো, ইয়া গফুর,
যাহাদের প্লীহা রোগ হইয়াছে তাহারা প্রাতে উঠিয়া বাসি মুখের থুক দ্বারা প্লীহার উপর মালিস করিবে আর উক্ত মন্তর নয়বার পাঠ করিয়া ফুক দিবে৷৷ এইরূপ থোড়া দিবস করিলে খোদার রহমতে আরোগ্য লাভ করিরে, আর নিম্নে একটি মাতব্বর ঔষধ লিখিয়া দিতেছি, ইহা ব্যবহার করিয়া দেখিবে খোদার মর্জ্জি উপকার হইবে।
(৩২)
প্লীহা রোগ ভাল হইবার এলাজ ।
প্লীহার ঔষধ ভাই শোন দীনদার॥ বড়ই কঠিন হয় এইত বিমার জলদি করিয়া লিখে এলাজ ইহার৷৷ বাঁচিয়া যাইবে তবে শুন সমাচার খিয়াল করিয়া শুন লিখি যে দাওাই ৷৷ দাওাই করিলে ভাই হইবে ভালাই : হরতকী আদা ও চিরতা তিন চিজ ৷৷ সমান ভাগেতে লিবে শুনহ আজিজ মটরের যত সাত বড়ি বানাইবে। হর দিন ফজরেতে এক বড়ি খাবে৷ এ দাওাই এক হপ্তা খাইলে যে ভাই৷ প্লীহা বিমার তার কিছু রবে নাই হীন ওয়াজুদ্দিন কহে জোনাবে সবার ॥ ব্রাহ নগর বিচে মাকান যাহার
(৩৩)
পেঁচো ধরিলে অর্থাৎ ছটিঘরে ছেলে দুধ ছাড়ে তাহার ঝাড়ন ।
ঝাড়ন পেঁচো, মারন পেঁচো, তলণ্ডারের ধারে,
যা পেঁচো শীঘ্র যা এলাহির দোহাই লাগে তোরে,
দোহাই দোহাই মহা দোহাই দোহাই নবীজির
দোহাই তোর ধর্মের, ছেড়ে যা শীঘ্র,
বা হাস্কে লা এলাহা ইল্লাল্লাহে৷ যোহাম্মাদুর রাছুলোল্লাহে।।
কিঞ্চত খাটি সরিষার তৈলে উক্ত মন্তর নয়বার পড়িয়া দম করিবে, পরে মাথা হৈতে পা পৰ্য্যন্ত বেশ করিয়া মালিস করিবে। যদি হায়াত থাকে তাহা হইলে খোদার ফজলে চাঙ্গা হইবে। আর নীচে একটি ঔযধ লিখিয়া দিতেছি, ইহার পরীক্ষা করিয়া দেখিবে।
পেঁচো ধরা রোগ ভাল হইবার ঔষধঃ
ঘোড়ার লাদ পানি দিয়া কাদার মত করিয়া ছানিয়া সর্বাঙ্গে মাখাইয়া দিবে। এইরূপ তিন দিন করিলে উক্ত রোগ হইতে মুক্তি পাইবে ইহা দানা জানা লোকে বলিয়াছে ॥
বিলাই আছাড়া গাছের একটি শিকড় তুলিয়া আনিয়া তাহা দ্বারা শিশুর নাকে একটি হাচি দেলাইয়া ঐ শিকড় খানিক সূতা দ্বারা গলায় বান্ধিয়া দিবে, খোদার ফজলে দুধ খাইবে।
( ৩৫)
দস্ত বেদনার ঔষধ।
বিছমিল্লা হক আল্ল৷ দন্ত ব্যথা মোর,
দাও সাফা ইয়া খোদা চান্দ সুরুজের '
কছম লাগে তার॥
বা হক্যে হ লা এলাহা ইল্লাল্লাহ
ঘরের ঝুল ও লবন একত্রে মিশাইয়া হস্তের উপর করিয়া তাহাতে উক্ত মন্তর নয়বার পড়িয়া দত্তের গোড়ায় লাগাইয়া খানিক মুখ বন্ধ করিয়া থাকিবে, পরে যখন বোধ করিবে বেদনা কিছু নরম পড়িয়াছে তখন মুখ হইতে ঔষধ ফেলিয়া দিয়া গরম জলে মুখ ধুইয়া ফেলিবে। তাহাতে তামাম দরদ ভাল হইয়া যাইবে আর কখনও হইবে না।
(৩৬)
কোথাও কাহার হাড় ভাঙ্গিলে তাহার ঝাড়ন ৷৷
ভাঙ্গা হুয়া হাড় ঝাড়ি কোসে ঝাড়ি
কোসা পানির কুম্ভীর বনের বাঘ জিয়ারে জিয়া,
যেথাকার হাড় সেথা লাগ গিয়া,
লা এলাহা ইল্লাল্লাহ মোহাম্মাদুর রছুলোল্লাহ!
ভাঙা জায়গাতে ২।৩ দিন সকালে ও বৈকালে থোড়া বাসি ছাই দ্বারা মালিস করিবে ও উক্ত মস্তর পড়িয়া ৫১৭ বার ফুকিবে আল্লা চাহে ভাল হইবে।
( ৩৭)
জল পথে যাতায়াত করিবার মন্ত্র।
করিম রহিম আল্লা দিবে বাঁচাইয়া।
তামাম জাহান বিচে তুমি ত ছোলতান ৷৷
তুফান হইতে আল্লা দিবে যাচাইয়া।
দোহাই২ তেরা দোহাই কিবরিয়া॥
এই মন্তর সাতবার পাঠ করিয়া আপন শরীরে ফুক দিয়া জলপথে যাতায়াত করিলে তুফান হইতে ছহি ছালামতে ঘরে ফিরিয়া আসিবে পথে কোনরূপ আফত ঘটিবে না।
(৩৮)
চক্ষু উঠা ভাল হইবার দোওয়া
বিছমিল্লা২ আল্লাহ ছোবহান।
ফলানার চক্ষু উঠা করিবে আছান ॥
কিঞ্চিৎ গোলাপ পানির উপর ৭ বার উক্ত মন্ত্র পড়িয়া ঐ পানি যাহাদের চক্ষু উঠিয়াছে তাহাদের চক্ষে দুই তিনদিন ফজরে ছিটা মারিলে খোদার ফজলে আরোগ্য লাভ করিবে।
(৩৯)
চক্ষু উঠা ভাল হইবার দাওয়াইঃ
নিমকের সহিত বড় পানার পাতা চটকাইয়া নেকড়ার পুটুলি ‘করিয়া যে দিকের চক্ষু উঠিয়াছে সেই দিকের কানে বেশ করিয়া রস নেংড়াইয়া দিয়া রৌদ্রে বসিয়া থাকিবে। পরে যখন দেখিবে চক্ষু বেশ হিম হইয়া গিয়াছে তখন ঘাড় সোজা করিয়া ঐ রস কান হইতে ফেলিয়া দিবে ইহাতে চক্ষু কর করানি সকল নিবারণ হইবে
(৪০)
দোছরা রকম দাওয়াইঃ
পাতি নেবুর রস দিয়া ঐ লেবু গাছের শিকড় খোড়া নিফাস করিয়া বাটিয়া চক্ষুর উপর নীচের পাতায় প্রলেপ দিবে, ইহাতে চক্ষুর রোগ ভাল হইয়া যাইবে।
(৪১)
বোখার ছুটিবার মন্ত্র ।
আল্লাহ আজিম, আল্লাহ করিম,
আল্লাহু রহিম, ইন্না মালেকুল গফ্যার,
বালাকে করিবে দফা যাহা শরীরে আমার।
যাহাদিগের বোখার অর্থাৎ জ্বর হইয়াছে তাহারা উক্ত মন্তর দমবদম পড়িলে অতি সত্তর বোখার ছাড়িয়া যাইবে, তাহার উপরে আল্লাহতায়ালার রহমত বর্ষিবে।
(৪২)
হর হর রকম বোখার ছুটিবার দাওয়াঃ
সকল প্রকার জ্বর ভাল হইবার॥ দাও লিখে দেই আমি শুন সমাচার* ত্রিফলা ও পলতা মুতা গোলঞ্চ নিমছাল ॥ আর যে ধনিয়া লিবে কেতাবের কাল এই সব চিজ লিবে সমান ওজনে৷৷ মাপিয়া লিবেন সবে শুনে রাখ কানে তারপরে এই দাও দেড় সের পানিতে॥ সিদ্ধ করিয়া লিবে জান সকলেতে * আধপোয়া থাকিতে তায় নামাইয়া লিবে৷ তারপর ঐ পানি ছাকিয়া লইবে * ' 'চিনি অনুপানে এই দাঙাই খাইবে॥ সকল প্রকার জ্বর এতে ভাল হবে । একিন করিয়া সবে খাইবে যে ভাই ৷৷ তামাম বোখার হইতে বাঁচাইবেন সাঁই
(৪৩)
দোছরা রকম বোখার ছুটিবার দোয়াঃ
দোছরা রকম দাও। শুন দোস্তদার ॥ লিখিয়া দিতেছি আমি কেতাব মাঝার ধনিয়া ও পলতা ভাই এক২ তোলা॥ সিদ্ধ করিয়া লিবে নাহি কর হেলা এক সের পানি দিয়া দিবে উঠাইয়া | আপ পোয়া থাকিতে যে লিবে নামাইয়া দুই তিন বার করে দিবসেতে খাবে৷৷ বাত পিত্ত শেলো আদি সব ভাল হবে। ওজনেতে ভুল চুক নাহি যেন হয় ॥ তা হইলে না খাটিবে জানিবে নিশ্চয় * খাইবার কালে কিন্তু বিছমিল্লা কহিবে॥ তামাম বালাই | হইতে নাজাত পাইবে
(৪৪)
হামেলা আওরত খালাস হইবার মন্ত্র।
গফুর রহিম আল্লা গফুর রহিম।
রহম করিবে আল্লা মালেকুল করিম॥
কোন আওরত যদি খালাস হইতে কণ্ঠ পায় তাহা হইলে উক্ত মন্তর থোড়া পানির উপর একুশ বার পড়িয়া ঐ পানি পেলাইয়া দিবে তাহা হইলে খোদার ফজলে ও করম হইতে খালাস হইয়া যাইবে তাহাতে কোন সন্দেহ নাই
(৪৫)
রুজি রোজগারে বরকত হইবার মন্ত্র।
খোদা ইয়া পাক মোহাম্মদ রছুলে করিম
ছারে জাহাকী তু হায় করিম রহিম ॥
রুজি রোজগার মেরা তু কোশায়েশ কর। দোহাই তেরা করিমি কা আয় পরোয়ার দেগার। যাহাদের রুজি রোজগারে বরকত নাই, তাহারা উক্ত মন্ত্র হর রোজ ফজরে ও মগরেবের সময় সাতবার পড়িয়া খোদার নিকটে মোনাজাত করিলে আল্লাতাল। অল্প দিবসের মধ্যে রুজি রোজগারে বরকত দিবেন।
(৪৬)
শিশুদের দুধ তোলা নিবারণ হইবার মন্ত্র।
লা এলাহা ইল্লাল্লাহ বিছমিল্লা হক
আল্লা কছম হায় তেরা লৌহ ও
কলম কা, হক ইয়া মওলা।
যদি কোন শিশু অধিক দুধ তোলে তাহা হইলে হর রোজ মগরেবের সময় উক্ত মস্তর নয়বার পাঠ করিয়া শিশুর গায়ে ফুক দিবে এবং এক ঘটি পানিতে একটি লোহার ছুরি নিক্ষেপ করিয়া তাহাতে উপরোক্ত মন্তর সাতবার দম করিয়া ঐ পানি শিশুকে পেলাইয়া দিবে। এইরূপ তিনদিন করিলে অবশ্য আরোগ্য হইবে তাহাতে কিছু সন্দেহ নাই।
(৪৭)
স্প্নদোষ নিবারণ হইবার মন্ত্র
মালেক মৌলা হইয়াছে আরশে
আলা তক্তে রহ. হক লা এলাহা
ইল্লাল্লাহ মোহাম্মাদুর রছুলোল্লাহে।
যাহাদিগের স্বপ্নদোষ হয় তাহারা যদি উ মন্তর শুইবার সময় পড়িয়া আপন ছিনায় ফুক দিয়া শুইয়া থাকে তাহা হইলে কখনও তাহাদের স্বপ্নদোষ হইবে না।
(৪৮)
থুম্স্কা অর্থাৎ মেয়ে লোকের দুধ বাড়ে,
কোন কোন দেশে সাঞ্জর বলে তাহার ঝাড়নঃ
আল্লার নামেতে আমি থুম্কা রোগ ঝাড়ি
দোহাই তোর ধর্মের শীঘ্র যা ছাড়ি॥
এর অঙ্গে যদিস্মাৎ আসিস ফিরে।
দোহাই তোর ধৰ্ম্মের আল্লাজীর কিরে॥
কোন আওরতের যদি থুষ্মা রোগ হইয়া থাকে তাহা হইলে একটি নূতন ঝাড়ন লইয়া পেস্তনের উপর আস্তে আস্তে বুলাইবে এবং উক্ত মস্তর পড়িয়া ফুক দিবে, এই প্রকার সকালে ও বৈকালে ঝাড়িলে ভাল হইবে।
(৪৯)
ভেক গরল ঝাড়ন ৷
ভেক বিষ ঝাড়ি আমি মন্তরের জোরে।
শীগ্যির উড়িয়া যা
এলাহির দোহাই লাগে তোরে॥
বা হক্কে হক লা এলাহা ইল্লাল্লাহ মোহামাম্মাদুর
রাসূলুল্লাহ
যদি কাহারো গায়ে বেঙ্গের গরল হইয়া থাকে তাহা হইলে ঘোড়া চুন হলদি আনায়ন করিয়া ঐ চুন হলদির উপর উক্ত মস্তর দম করিয়া তাহার তামাম আন্দাষে মালিশ করিয়া দিবে তাহা হইলে খোদার ফজলে আরোগ্য লাভ করিবে।
(৫০) বাধক বেদন। ভাল হইবার
ঔষধ ও দোওয়া।
লা এলাহা ইল্লাল্লাহ বা হাক্কে
হক কুল-আল্লাহো লাম ইয়ালেদ
ওলাম ইউলাদ ওলাম ইয়া কুল্লাহু
কোফোয়ান আহাদ।
উলট কম্বল নামক এক প্রকার গাছ আছে, সেই গাছের কিঞ্চিত মূল আড়াইটা গোল মরিচের সহিত বাটিয়া হস্তের উপর করিয়া উক্ত মন্ত্র সাতবার ঐ ঔষধে দম করিয়া প্রাতে ভক্ষণ করিবে। এইরূপ নিয়মে হায়েজের সপ্তাহ কাল পর্য্যন্ত সেবন বিধেয়। তাহা হইলে উক্ত পীড়া হইতে খোদার ফজলে মুক্তি লাভ করিবে।
এছলামীয় মন্ত্র প্রথম ভাগ সমাপ্ত |
অসাধারন মন্ত সমুহ খুব উপকৃত হবো ।
উত্তরমুছুনএকটি মন্তব্য পোস্ট করুন