কুকুরে কামড়ানো রোগী নিরাময়ের মন্ত্র
হিং গিলি পিং গিলি বেটি
অথেরে গুহিলি বাশুলী
গুড়ি পাক মুন্ত্রী।
প্রয়োগ বিধি: এই মন্ত্র তিনবার পড়ে রোগীর পিঠে থালা লাগাতে হবে এবং লবণ পড়া খাওয়াতে হবে।
কুন্ঠ রোগের মন্ত্র
মনেতে উপজিলো মনসা দেবী
মনেতে করিনু বাস,
বুজুরু যাইয়া টুটে
ফন্নার শরীরের কাশ৷
বুড়ি না পাকে না ফুটে,
আল্লাহর দোহাই মোহাম্মদের বর
এই পানি পড়াতে
কাসাবুড়ি ভ হয়ে পড়।
প্রয়োগ বিধি : মন্ত্রপূত পানি রোগীকে নিয়মিত পান করাতে হবে।
গলা ব্যথা নিরাময়ের মন্ত্র:
(২৫)
জাগি জাগিস
যেই কাজে লাগাব
সেই কাজে লাগিস।
প্রয়োগ বিধি ঃ এক নিঃশ্বাসে তিনবার বলে ডাউয়া গাছের গোড়ায় মাটিতে ফুঁ দিতে হবে। অতঃপর গলায় ঐ মাটি মালিশ করতে হবে।
ঘা নিরাময়ের মন্ত্র
(২৬)
আগুনি জুগুনি
ব্রহ্মার ভগিনি
ফন্নার মন্ত্রেতে
পানি কর আগুন এখনি।
প্রয়োগ বিধিঃ মন্ত্রটি পড়ে তেলাকুচার পাতায় তিনবার ফুঁ দিয়ে ক্ষত স্থানে লাগাতে হবে।
(29)
হরি অঙ্গে আশ হরি সঙ্গে বাস।
আসেক হরি বসেক পার্টি,
শুন ধন্য সে সেবকে হাতি।
আইস পানি খাইস শুষিয়া,
কারলোক আসব চলিয়া।
সত্যি ছাড়ি মিথ্যা কহিব,
আল্লা নবীর মাথা খাব।
প্রয়োগ বিধি ঃ এই মন্ত্র এক নিঃশ্বাসে পাঁচবার পাঠ করে পানি মন্ত্রপূত করে সেই পানি ঘায়ের উপর ছিটিয়ে দিতে হবে।
(২৮)
জুড়িনু রামের হাল
দুই বাহুর বলে,
বসুদেব শুনে আসুন চলে।
বারো মুঠি সরিষা,
তের মুঠি রাই।
এই তেল পড়ে দিল
পাঁচ কন্যা মাই।
চিনি বুল্লা রঙ্গ দেখ
বাউ চুলকানি,
কাউনিয়া ফুলিয়া
আঠারো বাও ফন্নার শরীরে মিশাও
ছোট ছোট ঘাও।
প্রয়োগ বিধি: এই মন্ত্র তিনবার পাঠ করে তেলে বা পানিতে ফুঁ দিয়ে ঐ তেল ঘাতে লাগাতে হবে অথবা পানিতে ধুইয়ে দিতে হবে।
(২৯)
ঈশান চাবি বিষাণ তেল উদুরিয়া মরে গেল,
শামুকের হলে চরপানি মারে আন বাও খানি
এই তেল পড়া হেলিব পেলিব শিব-শঙ্করের মাথায়
দুই পা মুছিব।
প্রয়োগ বিধি: মাটিতে না বসে পিঁড়ি বা চৌকির উপর বসে একটি বাটিতে রাখা নারিকেলের তেল মন্ত্রপূত করতে হবে এবং উক্ত তেল ঘায়ে মালিশ করতে হবে।
ক্ষত সারানো মন্ত্র
(৩০)
খুট খাট বাওতলা মুখে ধাও
ছোট খাট বাওতলা মুখে ধাও
এই বাণ হেলিব পেলিব
চড়াব ঘাও,
ঈশ্বর গোসায়ের মাথায় মুছিব দুই পাও৷৷
প্রয়োগ বিধি: এই মন্ত্র তিনবার পাঠ করে পানিতে ফুঁ দিতে হবে। অতঃপর সেই পানি রোগীকে পান করালে ঘা তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যাবে।
চিত্ত দৌর্বল্য নাশক মন্ত্র
৩১) ধূম নামে তুলি পানি রুহু নামে জপু,
রুহু নামে পিয়ে পানি মরার যম থাকু।
তিরিশ তিরিশ তিরিশ গদ্দাধর
ফন্নার পাঁচ ভাইর পান্ডুর রস
হে আল্লাহ নিরঞ্জন ঘটে ঘটে বশ।
চতুরদিকে বইসা মণি মধ্যি বইসা শিব,
নাভির মুখে
অমুকের অঙ্গে বসে বিষ।
প্রয়োগ বিধিমন্ত্রটি একটি নতুন কলসে পড়তে হবে। কলসের ভিতর পাটের আঁশ ঢুকিয়ে আগুন দিতে হবে। তার ওপর একটা পানি ভর্তি থালা চেপে ধরতে হবে। যদি সে সময় কলসি থেকে শব্দ উঠে আসে তাহলে বুঝতে হবে যে, রোগী সত্যি চমকে গেছে। তখন একবাটি মুড়িতে এই মন্ত্র পড়ে ঐ বাটির মুড়ি রোগীকে খাওয়াতে হবে।
ভূত ভূতাসন পদতল শিবং শিবং তিলক নাম জপে,
ভূত পেত ফন্নার গেত ছাড়িয়া বৈকুন্ঠে বাস কর।
প্রয়োগ বিধি: এক নিঃশ্বাসে এই মন্ত্র তিনবার পড়ে গায়ে ফুঁদিতে হবে।
(৩৪)
জয়তু মা মঙ্গলা কালী
ভদ্র কালী কপালিনী, মা দুর্গা শিবায় শান্তি
যা গো দেবী যশোদেহী।
প্রয়োগ বিধি: এই মন্ত্র পাঠ করে রাতে রোগীর গায়ে ফুঁ দিলে চিত্ত দুর্বলতা দূর
হবে।
(৩৫)
পতানেতে কুচিপান,
উঠানেতে বীর হনুমান,
বুকেতে কিতাবে কোরআন
আল্লাহর উছিলায় মুক্তি পান।
(৩৬)
আই কান্দুনি মাই কান্দুনি কান্দুনি
গেইছে হাট ফন্নির ছুয়া শুকনিয়ে থাক।
(৩৭)
তরঙ্গ নদীর সুড়ঙ্গ ঘাট স্বর্গে আছে বাইশ কপাট,
কাঁচা দুধের ধার ভক্ষণ কর।
মোর শরীরে আইল মাশান হে মুর্শিদ হওনা আছান
প্রয়োগ বিধি: সন্তানবতী মহিলা স্বপে ভয় পেলে তার দুধ পর পর তিন বৃহস্পতি বার নদীতে ফেলে দিতে হবে।
চুলকানী রোগ নিরাময়ের মন্ত্র
(৩৮)
কাজ করিনু কাচিনু করিনু কপালে তিল্লক ফোঁটা,
মোর পানি পড়া খাস রাইচন্ডী কার বেটা।
ধমন চমন উজান্তি বাও
যেঠে কার চুলকানী সেইঠে যাও।
(৩৯)
পরিনু পানি করিনু বন ডাহেন কালী বামে ভূত।
এই পানি পড়িয়া খাইস যেমন লক্ষী চন্ডীপুত।।
চোখের রোগ নিরাময়ের মন্ত্র
(80)
নদীর ঘাটতে জননী যে খাইল
চোখের রোগ তাহাতে জন্মিল।
কাতর ও বেদনা সেতা
করেন কান্দন
রামচন্দ্র করে বেদনা নিবারণ।
প্রয়োগ বিধি: এই মন্ত্র এক নিঃশ্বাসে তিনবার পাঠ করে চোখে ফুঁ দিতে হবে।
(৪১)
জল সুধং জ্বর সুধং
আর সুধং বায়া,
এই জল পড়িয়া গেনু
ফন্নার নাম ধইর্যা কিলিং কেষ্টং বুড়ো মাই।
প্রয়োগ বিধি : চোখ উঠলে পানি পড়ে চোখে পানির ছিটা দিতে হবে এবং সাতবার এক নিঃশ্বাসে মন্ত্রটি পড়ে চোখে ফুঁ দিতে হবে।
(৪২)
চক্ষুশূল চক্ষু বিকার
রজনী আধার, ঝাড়ব চোখ মারব বিষ নাই কিছু আর।
কার আজ্ঞে?
দোহাই ধন্বন্তরির আজ্ঞে।
প্রয়োগ বিধি: এই মন্ত্র এক নিঃশ্বাসে তিনবার পড়ে পানিতে ফুঁ দিয়ে রোগীর চোখে ঐ পানি ছিটিয়ে দিতে হবে।
(৪২)
চক্ষুশূল চক্ষু বিকার
রজনী আধার, ঝাড়ব চোখ মারব বিষ নাই কিছু আর।
কার আজ্ঞে?
দোহাই ধন্বন্তরির আজ্ঞে।
প্রয়োগ বিধি ঃ এই মন্ত্র এক নিঃশ্বাসে তিনবার পড়ে পানিতে ফুঁ দিয়ে রোগীর চোখে ঐ পানি ছিটিয়ে দিতে হবে।
(80)
নদীর কূলে নাক ফুল চোখ পড়ে শূল শূল।
নাক কান ভারে,
ছেড়ে যেন পড়ে।।
সিদ্দির বাও,
সিদ্দির উগ্গার করে,
কানা কুকুরের বাও।
আমার এই ঝাড়াতে যায়
ফন্নার চোখের বিষ বেদনা,
ঝাইড়া করলাম ক্ষয়।
প্রয়োগ বিধি ঃ এই মন্ত্র তিন বা পাঁচবার পাঠ করে পানিতে ফুঁ দিয়ে সেই পানি রোগীর চোখে ছিটিয়ে দিয়ে পরিস্কার কাপড় দিয়ে মুছতে হবে। তাহলে উপশম হবে।
(88)
নদীর ঘাটে যেই কালে
জননী খাইল, সেই কালে চক্ষু রোগ
তাহারি জন্মাইল।
কাতরে চেতন সে যে
করয় ক্রন্দন,
শ্রীরাম আসিয়া চক্ষু রোগ
তার করে নিবারণ।
প্রয়োগ বিধি : এক গ্লাস পানির মধ্যে তিনটি আমন ধান ফেলে দিয়ে এক নিঃশ্বাসে তিনবার মন্ত্রটি পাঠ করে পানিদে ফুঁ দিতে হবে। অতঃপর মধ্যমা ও বৃদ্ধ আঙ্গুলে সেই পানি উঠিয়ে চোখে দিতে হবে।
(80)
আয় শূল কুণ্ঠে গেইলণ্ড
এই চোখ ঝাড়ি গেইল, আরে কালী কামিখ্যা দেবী
তুই মোর মাও, চিলিং ভক্ম কিলিং কিষ্টের সহায় দুর্গা দেবীর মাথা খাও।
প্রয়োগ বিধি: চোখ উঠলে, চোখে আঘাত লাগলে, এই মন্ত্র এক নিঃশ্বাসে তিনবার পড়ে চোখে ফুঁ দিতে হবে।
চোখে ছানি কাটা মন্ত্র
(৪৬)
আওধে চোেখ আওধে নিস
এই চোখের ব্যথা বিষ,
কে ঝাড়ে? কে ফুঁকায়? গুরু জ্ঞিয়ান দোহাই ফুঁকায়৷
প্রয়োগ বিধি: এক নিঃশ্বাসে তিনবার পড়ে চোখে ফুঁ দিতে হবে।
চোখে ফুলকি রোগ নিরাময় মন্ত্র
চান্দের ঝিকিমিকি সূর্যের আলো
ফন্নার আন্ধার দিনেরও কালো,
পাকিস না ফুলিসনা চড়াস না ঘাও
ঈশ্বর মহাদেবের মাথায় মুছিব দুই পাও৷
(৪৮)
শিংগি শিংগি দাঁতের মাড়ি
কোথায় পালি তুই বিষের হাড়ি।
আগে গুরু পাছে শিষ,
ঝাড়ি গেলাম ফন্নার পাতানীর শিংয়ের বিষ।
(85)
ব্রহ্মা বিষ্ণু মহাম্মদের
এই তিন নিয়ে একাত্তর।
ব্রহ্মা বলে কিছু নাহি জানি
ফন্নার বিষ বিষাণী করি দিল পানি।
ছারপোকা বিতাড়নের মন্ত্র
(৫০)
ইকট দেশে বিকট রাজা বিকট মাথার কেশ।
উইড়া চলো উয়সী
যাবো অন্য দেশ।
প্রয়োগ বিধি ঃ এই মন্ত্র এক নিঃশ্বাসে চক্ দিয়ে খাটে বা চৌকিতে লিখতে হবে। এতে ছারপোকা চলে যাবে।
জ্বর নিরাময়ের মন্ত্র
(৫১) জ্বর জ্বর
লাগ জ্বর
পাক জ্বর
হাবুক জ্বর
বিষক জ্বর
ই জ্বর ই-জ্বর কে ঝাড়ে?
রেদ জ্বর
জিন জ্বর
হাড়ে জ্বর
বোঙ্গা জ্বর,
গুরু দিয়া মাই ঝাড়ে
ঝাড়ে সারি দোহাই
কামরূপ ঝাড়ে।
প্ররোগ বিধিমন্ত্র পড়ে রোগীর মাথায় ফু দিতে হবে।
(৫২) ইরকুটি” মাশান বীরকুটি দেও
আয় মাশান ঘুম পারিয়া,
এই পূজা পানি খা
তুই চুপ করিয়া।
ইসুনের গাজী খায়া তাক খান,
শ্মশান দ্যাও ভূত দ্যাও মাশান।
প্রয়োগ বিধি ঃ এই মন্ত্র তিনবার পড়ে বিচি কলায় ফুঁ দিয়ে খেতে দিতে হবে। এর সঙ্গে একটু নিম পাতার গুড়া চিনি দিয়ে খেতে দিতে হবে।
ফেন্নার রোগ বালাই
দোষের দোষ বাণ, বান্দিয়া আসন দিলাম বসিবার,
আনিব ছান্দিয়া-বান্দিয়া তেলে উঠুন তেলে বসুন তেলের সিংহাসন।
তেলে তোমার ত্রিশর
দোহাই নাগে আল্লা নবীর
দোহাই সবার।
প্রয়োগ বিধি : জ্বর হলে এই মন্ত্র পড়ে তেলে ফুঁ দিয়ে সেই তেল গায়ে
করতে হবে।
( 58 )
রূপ দিলে জীবটা অরণ্যে বাস এই জীবটা না করি বিনাশ।
প্রয়োগ বিধি : মন্ত্রটি এক নিঃশ্বাসে নয় বার পাঠ করে তেলে ফুঁ দিয়ে সেই তেল
গায়ে মালিশ করতে হবে।
(৫৫)
দিন জ্বর,
রাত জ্বর
হাকুম জ্বর, বিষক জ্বর
মালিশ
ই-জ্বর কে ঝাড়ে?
গুরু ঝাড়ে
গুরু গিয়া মাই ঝাড়ে।
কামরূ দেবীর দোহাই লাগে।
প্রয়োগ বিধি ঃ এই মন্ত্র পাঠ করে পানি পড়ে রোগীকে ঐ পড়া পানি পান করালে
রোগীর জ্বর নিরাময় হবে।
আমি সবই ব্যাক্তিকে উপকার করিবো
উত্তরমুছুনএকটি মন্তব্য পোস্ট করুন