গুরু বিদ্যা মন্ত্র শিখুন । পরীক্ষিত তন্ত্র মন্ত্র শিক্ষা

অর্ধাঙ্গ (প্যারালাইসিস) রোগ নিরাময়ের মন্ত্র


রাম রতি সীতা সতী 

এই ঘি পড়িয়া দিলাম

 ফান্নার অর্ধাঙ্গের 

বিষ খেদাবেন মা হর পার্বতী।


প্রয়োগ বিধি : মন্ত্রটা একদমে নয় বার পড়ে পাঁচ বছরের পুরাতন ঘিয়ে ফুঁ দিয়ে তারপর সেই ঘি দিনে পাঁচবার রোগীর শরীরে মালিশ করতে হবে। আমিষ, টক, ঝাল তিন মাস খাওয়া চলবেনা।

(2) কালী কালামী নাম পরী

 স্বর্গ ছাড়ি মুন্ডু মালা গলে পরি

 আমি যেন এই ঘি পড়া চালান দিছি

 যা তুই স্বর্গে যা বেটি

যদি স্বর্গে না যাবি শিবের মাথায় দুই পা মুছিবি৷


প্রয়োগ বিধি : উপরোক্ত নিয়মে।


(৩) পূর্বে থিকা পশ্চিমে যা থাকলে বিষ,

 উজান ধা উজান থামে ভাটি

 যাব মা পদ্মার মাথা খাব।

(8)

আল্লার হাতে ঢাল

মোহাম্মদের হাতে খাড়া,

মা বরকত মাদারী মায়া

মা বরকতের হুকুম পায়া,

ফন্নার বাশুলি* কাটিয়া

মুশকিল উদ্ধার হয়া যাইস

দোহাই লাগে হাসান হোসেনের

মাথা খাইস।


প্রয়োগ বিধি ঃ এই মন্ত্র পড়তে পড়তে রোগীর আক্রান্ত অঙ্গ জিহবা দিয়ে লেহন করতে হবে। এভাবে যতক্ষণ না সেই অঙ্গ সচল হয়ে ওঠে ততক্ষণ মন্ত্র পড়ে জিহবা দিয়ে অঙ্গ লেহন করতে হবে।

(৫)

রাম রতী সীতা সতী

ফন্নার রোগ বিষ আঠারো প্রকার বুড়ি বিষ

স্বর্গে নিয়ে যা মা

হর পার্বতী

দোহাই শিবের।

প্রয়োগ বিধি : পুরানো মাটির পাত্রে ঘি রেখে মন্ত্রপূত করে সেই ঘি মালিশ করতে হবে।



(৬)

দেবী গেল ফুল বনে

গোসাই এলো সনে,

রক্ত পড়ে পুঁজ পড়ে

সারা অংগ পানে। 

এই চেরামাটি ঘি পড়িয়া দিলাম

 মা বুড়ি স্বর্গে যাও তুমি। 

বার হাত কালী তের হাত মাং, 

শিবে হরণ করিয়া শান্তি করিয়া যান, 

দোহাই শিবের।


(৭)

চূড়ায় চূড়ামণি ব্রহ্মাণী সতী 

পট মধ্যে কালাচান করেন বসতি।

 কর্ণেতে চৈতন্য জাগে পায়ে বসুমতি, 

আঠারো মুকামের কথা শুনো হে পার্বতী৷ 

আঠারো মুকামের কথা যেই নরে জানে। 

থাউক যাউক মানুষ গরু দেও-দেবতা মানে।

 কিং কৃষ্ণ সহায়৷


প্রয়োগ বিধি: এই মন্ত্রটা পাঠ করার সময় হাতে জবাফুল বা তুলসী পাতা রাখতে হবে এবং এক নিঃশ্বাসে মন্ত্রটা পাঠ করে রোগীর গায়ে জবা ফুল বা তুলসী পাতাটি বুলিয়ে দিতে হবে।

(৮)

শুন শুন গুরু গোসাই” 

জোড় করি হাত, 

যা যা তুই দাঁড়াগে তার কাছ।

চোরা মাল ছাড়িয়া মানুষের পিষ্ঠে ধাইস,

 জল পুষ্প খায়া কৃষ্ণের অঙ্গখান নাগিয়া”

 যাইস৷ এক পুষ্প জল দিব কাত্যায়নীর কােছ, 

আরেক পুষ্প জল দিব হস্তিনীর পাছ।

 জল পুষ্প খায়া তুষ্টি কর মন,

যা যা তুই ইন্দ্রভুবন। ক্লিং কৃষ্ণ সহায়৷


প্রয়োগ বিধিএই মন্ত্র এক নিঃশ্বাসে পাঠ করতে করতে রোগীর মাথায় হাত দিয়ে ধীরে ধীরে মাথা ঝাড়তে হবে। ‘ঔষধ প্রয়োগ : মন্ত্র দু'টি পাঠ করার পর- অশোক সিঁদুর, অশোক মাণিক, মুদ্রাসন, সিং কিরিট, অশোক কর্পূর, এই পাঁচটি দ্রব্যের প্রতিটি এক তোলা পরিমাণ নিয়ে গুড়া করে পুরাতন ঘিয়ের সঙ্গে মিশিয়ে রোগীর শরীরে মালিশ করতে হবে।

শিব নড়ে ঘণ্টা বাজে,

ষোলশ ডাকিনীর বুক ফাটে।

আয় কালী পড়েক বাণ,

ছয় কুড়ি ছয় বাণ। 

হেংগুলি পেংগুলি,

 রথের রথ গোহিনী” 

বুড়ি বাঁউশিলি” বুহান।


(১০) হাত বাঁকা পা বাঁকা বাঁকা সর্ব গাও, 

এই ঘি পড়া খাইয়ে ফন্নার রোগ বালাই যাও। 

কুন কুনিয়া” বাশুলী ফুলা বাশুলী তুষ্টি কর মন।


প্রয়োগ বিধি : এই মন্ত্র পাঠ করে ঘিতে ফুঁ দিয়ে ঐ ঘি রোগীর গায়ে মালিশ করতে হবে।

(১১)

সাজিলো বীর নরসিংহ তুর্য গমণ চান কাঁপে, 

সুরুজ কাঁচে, কাঁপে ত্রিভুবন।

শোন শোন নরসিংহ 

বড় বড় ধর পাহাড় পর্বত ভাঙ্গি 

রুগী রক্ষা কর।

 হারবাশুলী কারবাশুলী,

উজান ছাইড়া অমুকের বিষ ধা

 দরদ ভাটির জলে চলিয়া যা। 

অগ্নি-দগ্ধ রোগীর ব্যথা নিরাময়ের মন্ত্র


(১২)

ব্রহ্মা শান্ত বিষ্ণু শান্ত শান্ত মহেশ্বর,

আগুনি বুগুনি ব্রহ্মা ভগিনী পাকিস ফুলিস চিঙ্গা ছাড়িস

যদি করিস রাও,

দোহাই নাগি

ঈশ্বর মাহাদেবের মাথায় মুছিব দুই পাও৷

প্রয়োগ বিধি ঃ এই মন্ত্রটি এক নিঃশ্বাসে তিনবার পড়ে অগ্নিদগ্ধ স্থানে ফুঁ দিতে


(১৩)

স্বর্গ হইতে নামিল বীর হনুমান

মুখে অমৃত দিয়া ব্রহ্মা হইলা ধ্যান। 

তেল পড়া আগুনি বুগুনি ব্রহ্মা গেইল হাট

ফন্নার অষ্টম ধর ছাড়িয়া চুরমারি” থাক৷


প্রয়োগ বিধি : চাপাতিতে এই মন্ত্র পড়ে শরীরে লেপন করে দিতে হবে।


আঙ্গুলের ব্যথা নিরাময়ের মন্ত্র


(১৪)

মুখের হাসি নখের ক্ষয় ফন্নার মিছিলি ক্ষয় হয়।

পেট ব্যথা নিরাময়ের মন্ত্র

(১৫)

হে মা হে শিবা রামের দোহাই দেছু” 

মা' যত আছে দোষ-দুষি

 ত্রিশ কোটি দেবতা, 

মা পার্বতী দেবী,

আছে মা বিষ ব্যথায়

কোথায় যায়?

চলি যা মা দোহাই মা ঈশ্বরের দোহাই মা।


প্রয়োগ বিধি: এক নিঃশ্বাসে মন্ত্রটি তিনবার পড়ে সরিষার তেল মন্ত্রপূত করতে হবে এবং উক্ত তেল পেটে মালিশ করতে হবে।

আধ-কপালি (মাইগ্রেণ) ব্যথা নিরাময়ের মন্ত্র


(১৬)

চিলি মিলি আধ কপালি

কুন্ঠে” পালু বিষের হাড়ি, 

শিবের হাঙ্কার” মহাদেবের বর

কপালের বিষ মাটিতে ঝড়ে পড়।


প্রয়োগ বিধি: সকাল বেলা বাসী মুখে এক নিঃশ্বাসে এই মন্ত্র তিনবার পাঠ করে রোগীর কপালে ফুঁ দিতে হবে।


(১৭)

মাথাতে বসিলা মাগো তুই মাথা মুরা হইয়া,

মাথারই যন্ত্রণাগুলা

দে মা ছাড়িয়া।

দোহাই লাগে রামচন্দ্রে

করুণা করিয়া,

ওরে মারিব ঝিলিক

বাণ ফেলাব কাটিয়া।

কৃষ্ণ আয় আয়

গড়ুর” হুংকারে বিষ পাতালে চলে যায়।

 প্রয়োগ বিধি ঃ এই মন্ত্র এক নিঃশ্বাসে একবার পড়ে রোগীর কপালে তিনবার ফুঁ দিতে হবে। এভাবে নয় বার ফুঁ দিলে ব্যথা দূর হবে।


আমাশয় রোগ নিরাময়ের মন্ত্র 

(১৮) গঙ্গা সাগর তিরপানি 

 এক ধারে পড়ে জানি,

 যেই আনে সেই খায় ফন্নার

 হাগা মুতা প্যাট ফুলা পালায়।


(১৯) 

নদী কিনারে জুড়ুন নাও 

তার মধ্যে বাও বাও ফন্নার 

অঙ্গের হাগা মুতা অঙ্গেতে মিশাও। 

চিলিং ভ কিলিং কিষ্টি সহায়৷

উডু নাম জপিয়া ছলনা নিনু হাতে, 

ব্রহ্মা নাম জপিয়া কল নাগানু তাতে, 

অজপা নাম জপিয়া দিনু দরশন,

 ফন্নার হাগা মুতা প্যাট”

 ফুলা জোক জখিমত করিস বিমোচন। 

চিলিং ভষ কিলিং কিষ্টি সহায়৷

(২১)

সুনদার পুকুরি

মনোহর পানি, 

তাহাতে উপজিল শিব-শংকর 

ওঝা দুই খানি। 

নৌ বাও ধৃজাতলা বাই

একবার ছাড়া দুইবার যাই।

দোহাই নাগে

ঈশ্বর মহাদেবের মাথা খাইস

 চিলিং ভষা কিলিং কিষ্টি সহায়৷


প্রয়োগ বিধি: কালো কচুর পাতায় পানি নিয়ে মন্ত্রপূত করে সেই পানি আমাশয় রোগে আক্রান্ত রোগীকে নিয়মিত পান করালে তার রোগ নিরাময় হবে। ১৮ নং মন্ত্রটি এক্ষেত্রে যদি ব্যর্থ হয়, তবে ১৯, ২০ এবং ২১ নং মন্ত্রগুলি একই নিয়মে মন্ত্রপূত করে রোগীকে পান করাতে হবে।

একশিরা রোগ নিরাময়ের মন্ত্র

(২২) (ক)

সাত সমুদ্র পারের রাজা

সিন্না হবে করিনু ভাষা মাছ খাইয়া

 ফালাইছে ব্যাটা মুই ঝাড়মু 

এক শিরিয়া ঝাড়া কাটা।


(খ)

অস অস কি অস? 

হাইয়ে হাই যাইয়ে যা 

না কয় তার সারে সর্বনাশ


প্রয়োগ বিধি ঃ ক নং মন্ত্রটি তিনবার পাঠ করে উরুতে হাত মালিশ করতে হবে এবং ঝাড়তে হবে। খ নং মন্ত্রটি পাঠ করে একশিরায় বাঁশের শিঙ্গার মধ্য দিয়ে ফুঁ দিতে হবে।


Post a Comment

أحدث أقدم

এখানে ক্লিক করে বই ডাউনলোড করুন