জ্বীন ভূতকে নিজের হাতের মুঠোয় এনে, জ্বীন ভূত দিয়ে অসাধ্যকে সাধন করে আনার দোয়া

জ্বীন ভূতকে নিজের হাতের মুঠোয় এনে, জ্বীন ভূত দিয়ে অসাধ্যকে সাধন করে আনার দোয়া

সাধন প্রকরণ ঃ যে কোন অমাবস্যা রাত বারটায় নির্জন অশ্বত্থ গাছের ভলায় বসে নিম্নোক্ত দোয়া প্রতিদিন ৪২০ বার জপ করবে। এই অমাবস্যা থেকে সামনের অমাবস্যা পর্যন্ত। এইভাবে জপ করার পর দেখা যাবে জ্বীন ভূত সাধকের সামনে এসে প্রথমে পানি চাইবে। তাদেরকে পানি দেওয়ার আগে বলতে হবে, তোমাদেরকে পানি দিতে পারি এক শর্তে তোমরা যদি আমার গোলাম হয়ে থাক তাহলে তোমাদেরকে পানি দিতে পারি। কিছুক্ষণ তারা চিন্তা ভাবনা করার পর তারা বলবে আমাদেরকে আর কষ্ট দিওনা প্রভু, আমরা আর পারছিনা। ঠিক আছে আমরা তোমার চিরদিনের গোলাম হয়ে রইলাম। এই কথা বলার পর সাধক পানি দিবে। ঐদিন থেকেই সাধকের বশ হয়ে গেলো ওরা, সাধক যাই বলবে তাই করবে ওরা।

দোয়াঃ কুরণী কুর্ণী ছায়ারিকা মনকে মায়া নিয়াজাকা রিউলি জার্মীলি ছায়লী করমী বীজয়মী লুছিয়াম। মুছেআ জানাজাম কারুয়য়ানী ছালমেছী ওর ছানিয়া বিসিযুছে রূরসী ছালা জানীয়ুছে, বস করায়া জ্বীন ভূতকে।

বিঃদ্রঃ জ্বীন ভূতকে সাধক ছোবে না। ওরা ধরতে চাইবে, ওদেরকে ঢাকার আগে উপরোক্ত দোয়াটি ১০ বার পড়ে নিজের গায়ে ফুঁ দিয়ে তারপর ডাকবে। শরীর বন্ধ থাকলে ওরাই দুই হাত দূরেই থাকবে । তবে ওদেরকে দিয়ে কোন অসৎ কাজ করা যাবে না। তাহলে দেখা যাবে নিজেরই অনেক ক্ষিতি হয়ে গিয়েছে। 

রুগী দেখে রোগ নির্ণয় করা এবং রোগ সারানো প্রকরণ। সাধকের কানে কানে জ্বীন ভূতে অতীত বর্তমান এবং ভবিষ্যতের ফলবলে দিবে । যাই জিজ্ঞাসা করবে তাই সঠিক উত্তর বলে দেবে।

দোয়া জপ করার প্রকরণজঙ্গল থেকে দুটো মনকাটা এবং ওয়রের একটা দাঁত নিয়ে তার উপর নিম্নোক্ত দোয়াটি ৭৮ বার জপ করবে। তারপর সাধক প্রতিদিন নিজ কপালে লাল বর্ণের রং দিয়ে তিলক পরে প্রতিদিন নিম্নোক্ত দোয়াটি ৩৬ বার জপ করবে।


দোয়াঃ “ইরামা আইয়ানিছা কাউসিমিন রংঙ্গুয়াছি বেজামুছা, কোলিনা ছাম্ । ছাইছ্‌ ‘খি,॥ লিয়া জিম্‌কা পরছিনু কামছিন, কামছিন্!!“


বিঃ দ্রঃ সাধক রুগীর রোগ নির্ণয় করার পর রোগ কিভাবে মুক্তি পায় জিজ্ঞাসা করলে বলে দেবে। ভেঙ্গে জিজ্ঞাসা করতে হবে কিন্তু ।


চিনি দিয়ে চোর ধরার দোয়া ও প্রকরণ।

প্রকরণবাজার থেকে এক মূল্যে এক ছটাক পরিমাণ চিনি এনে নিম্নোক্ত দোয়া একুশবার পড়ে ঐ চিনির উপর ফুঁ দিবে। তারপর যাহাকে যাহাকে সন্দেহ মনে হয় তাহাকে একটু করে খাইয়ে দিবে। যে চুরি করেছে সে মুখে দিলে তার মুখে আর চিনি গলবে না, মুখ থেকে গল গল করে রক্ত পড়বে। যতক্ষণ পর্যন্ত স্বীকার না করবে ততক্ষণ পর্যন্ত রক্ত পড়তে থাকবে। যখন চুরি করছে স্বীকার করবে তখনই রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে যাবে। সাথে সাথে জিনিসগুলো কোথায় আছে কিভাবে আছে বলে দেবে।


দোয়াঃ “আয়োছা কিরোজ মিলনাকে কুরণিকা বোলনাছে, আরমানোকি পুরু করনাছে। ধনকো ফিরমে দেনাছে।“

আয়নার উপর চোরকে দেখার দোয়া ও প্রকরণ।

প্রকরণ : সাধক ভোর পাঁচটায় কালো কাপড় পরিধান করে পশ্চিম দিকে মুখ করে বসে আয়নাকে সামনে রেখে নিম্নোক্ত দোয়া ৮৮ বার পড়ে আয়নার উপর ফুঁ দিবে। ফুঁ দেয়া শেষ হলে দেখা যাবে, যে চুরি করেছে আয়নার উপর ভেসে উঠবে তার ছবি। যাকে দেখাবে সেই দেখতে পারবে। এই ছবিটা ছয় ঘন্টা পর্যন্ত থাকবে। ছয় ঘন্টার পর আবার মিলিয়ে যাবে।

দোয়া“আমিছা আমিছ চোরকো মনিষকা দেখনেয়া ছায়া কিরণে, আয় চোরমে কায়া লাগছে কুরফি লাগছে অলকিক লাগ।।“


আয়নার ভিতরে শত্রুকে দেখে তার চিকিৎসা।

এমনও দেখা যায় নিজের আত্মীয়-স্বজন তাবিজের মাধ্যমে নিজেদের ভিতরে থাকিয়া নষ্ট করে দেয়। কাউকে বুঝতে দেয় না যে সে নিজেই এই কাজ করিয়েছে। তাহলে সেই ব্যক্তিকে দেখার জন্য আয়নার ভিতর এই দোয়া ব্যবহার করতে হবে।


দোয়ার প্রকরণঃ অমাবস্যার রাত বারটায় পাক-পবিত্র হয়ে কালো কাপড় পরিধান করে নিম্নোক্ত দোয়া ৯৯ বার পড়ে আয়নার উপর ফুঁ দেবে। তারপর দেখা যাবে সেই ব্যক্তির ছবি ভেসে উঠেছে আয়নার উপর। এই ছবি ছয় ঘন্টা পর্যন্ত থাকবে।


দোয়াঃ “ইয়৷ নিচ্ছা পীর হানিছ৷ কোৱালন শত্রুকো দেখনে ছায়া মিলানেছে ছায়াথা কুরফি লাগ অলকিকলাগ॥"


বিঃ দ্রঃ যাহাকে আয়নার ভিতরে দেখবে তার নাম ভুলেও উচ্চারণ করবে না। করলে সাথে সাথে ছবি উধাও হয়ে যাবে।


কুকুরের কামড়ে মিঠা পড়া।

প্রকরণ: এক ছটাক পরিমাণ মিঠা এনে ঐ মিঠার উপর নিম্নোক্ত দোয়াটি ৮৮৮ বার পড়ে ফুঁ দিবে। তারপর সেই মিঠা রুগীকে খাইতে দিবে। যদি কার শরীরে বিষ থাকে তাহলে মিঠাগুলো মিষ্টি লাগবে আর যদি বিষ না থাকে তাহলে ভাল লাগবে।


দোয়াঃ “ফিল্ ফিল ছিল্ ছিল্ যমুনাছে ঝিল খিল, আরছ জানিয়ুছে ফিল ছিল আলি তাবিয়া জানাচ্ছেঃ“

বিঃ দ্রঃ কুকুরের কামড় রুগীকে সাতদিনের ভিতরে আসতে হবে।


জন্ডিস রোগের দোয়া ও কবছ:

এই দোয়া এবং কবছ ব্যবহার করলে যেই রকম জন্ডিস হোক না কেন বিনষ্ট হয়ে যাবে ।


প্রকরণগরুর চনা, কাপুর, রুগীর মাঝ আঙ্গুলের রক্ত এবং জাপরান কালি একত্রে মিশিয়ে নিম্নোক্ত কবছ ডুমুর পাতায় অংকন করবে এবং কবচের নীচে রুগীর নাম ও রাশি লিখতে হবে। তারপর কবছটাকে সামনে রেখে নিম্নোক্ত দোয়া ৬৮ বার পাঠ করে ফুঁ দিবে। তারপর কবছটাকে লোহা, তামা, সোনার টোল, বানিয়ে তার ভিতরে ঢুকিয়ে মোম দিয়ে মুখ বন্ধ করে দিবে। তারপর ঐ তাবীজটাকে এক গ্লাস আখের রসের পানিতে সাতবার চুবিয়ে খালি পেটে সাতদিন খাওয়াবে। পরে ঐ তাবীজটাকে গলায় পরিয়ে দিবে। তাহলে রোগ সেরে যাবে।

দোয়া : খিলং খিলং সারনং সায়ে ফর মায়াষে নিকাল জায়ং, তেরিকে জানা হোগা খিলছে কাভি নেহি আনা অমুকের কিফছে জানা হোগা আরমান্জি জানা হোগা।

বিঃ দ্রঃ অমুকের শব্দের জায়গায় রুগীর নাম বলতে হবে।


বর্তমানে স্টোক রোগে অনেক লোক মারা যাচ্ছে, স্টোক রোগ থেকে বাঁচতে হলে এই দোয়া ও কবছ ব্যবহার করলে মুক্তি পাওয়া যায়:


কবছ লেখার নিয়মনিম পাতার রস, ডুমুর গোটার রস, কাপুর ও জাপরান কালি একত্রে মিশিয়ে কচি কলা পাতার উপর এই কবছ অংকন করতে হবে এবং কবচের ভিতরে রুগীর নাম লিখত হবে । এই কবছ লিখতে হবে সোমবার রাত ১টায় নির্জন স্থানে তেঁতুল কাঠের উপর রেখে। যেন ঐখানে সাধক ছাড়া অন্য কোন ব্যক্তি না থাকে। কবছ লেখা শেষ হলে কবছটাকে চার ভাঁজ করে ৪৮ ঘন্টা মাটির গর্তে পুঁতে রাখবে। ৪৮ ঘন্টা পর কবছটাকে উঠিয়ে নিম্নোক্ত দোয়া ৫৮৪ বার পাঠ করে কবচের উপর ফুঁ দিবে। তারপর ঐ কবছটাকে তাবিজ আকারে বানিয়ে রূপা, সোনা, দস্তা ও পারদ একত্রে মিশিয়ে ঠোলা বানিয়ে ঠোলার ভিতরে কবছ ভরিয়ে রুগীর গলায় পরিয়ে দিবে। জীবনে তার আর কোন দিন স্টোক করবে না এবং যতই বিপদ আসুক না কেন তাবিজ থাকা অবস্থায় তাকে ছুঁতে পারবে না।


দোয়া ও “জিনেকো দেনা মোথকো দূরে রা রাখনা লায়ং জিংয় সায়ং ছুয়ালিকা, সায়নাকে মির ছুনি ছানি কিলালুয়া? মারলিং জাউন্‌কো ফিল সাইন। অমুকং জিন্দা রেহানা হোগা করকি রাইনছে?"

বিঃ দ্রঃ অমুক শব্দের পরিবর্তে রুগীর নাম বলতে হবে।


পুরোনো পেটের ব্যথা দূর করার দোয়া ও কবছ যে রুগীর পেটের ব্যথা অনেক ডাক্তার কবিরাজ দেখিয়েছে কিন্তু পেটের:


বাথা আর যায় না, তাহলে এই দোয়া ও কবছ ব্যবহার করবে।

প্রকরণঃ রুগীকে পাশে শুইয়ে দিয়ে পেটের উপর হাত বুলাতে বুলাতে নিম্নোক্ত দোয়াটি ১৩ বার পাঠ করে ফুঁ দিবে। তারপর রুগীর পেটের উপর সাদা কাগজ রেখে জাপরান কালি দিয়ে নিম্নোক্ত কবছটি অংকন করবে। তারপর একি দোয়া ৭ বার পাঠ করে কবছটাকে ঢুকিয়ে রুগীর কোমরে বেঁধে দিবে।


দোয়াঃ “পেট বিমার জানা হোগা ধমসে তৈরী হেলান যায়ং ছুনানাছে কিমনিসে পুরনিমাকে নিকালেংগে অরনেহি জানা জামে জিতে দেংগে লিমসো মিনাউর রহমানঃ”



পেট ব্যথার লবণ পড়া দোয়া ও কবছ:-


প্রকরণ ঃ ডান হাতের তর্জনি মধ্যমা ও বৃদ্ধা আঙ্গুলীর দ্বারা কিছু সিন্দুক লবণ তুলে নিয়ে নিম্নোক্ত দোয়া সাতবার পাঠ করে ফু দিয়ে রুগীকে খাওয়ালে পেটের ব্যথা দূর হয়ে যায়। এবং নিম্নোক্ত করছ জাপরান কালি দিয়ে সাদা কাগজে অংকন করে তামার টোলে ভরে রুগীর কোমরে বেঁধে দিবে। তাহলে আর কোন দিন ব্যথা হবে না।


দোয়া : “লবণ, লবণ, লৰণ সিদ্ধক লবণ এ লবণকে পড়ে কুপুরী অলীকক পড়ে অলকীক কুপৰীয় আগ্যায় নিব পড়ে, পিরের জ্ঞ্যানে আমি পড়ি। এই লবণ পড়া দিলে ঠাইয়ে করিবি বস “


দাঁতের ব্যথা দূর করার দোয়া ও কবছ:

প্রকরণঃ প্রয়োজন কালে সকালে মুখ পরিস্কার করার সময় হাতে পানি নিয়ে নিম্নোক্ত দোয়া ৯ বার অভিখস্তিত করে কুলি করলে দাঁতের ব্যথা দূর্ধ হয়। নড়া দাঁত বসে যায়। এইভাবে সাত দিন করবে। অষ্টম দিনের দিন নিম্নোক্ত কবছটি গলায় ঝুলিয়ে রাখবে। তারপর লোহার ঠোলে ভরে নিবে।


দোয়া ঃ “হে দন্তা তুম্ কিউ কুলতা হাখে, তুমহে সন জাইবা হাম এক সর, তুমহো বন্তিত হুমরি তুম্ী কোন্‌টি সি রিতি। হম্ বালাই ব্যাটে পাউ মৃত্যু বিবিয়া সঙ্গহী জাউ॥“





শত্রুকে ক্ষতি করার যদি কোন মতলব থাকে তাহলে তাহাকে বোবা বানিয়ে রাখলে সে দুর্বল হয়ে পড়বে। তাহলে এই কবছ ও দোয়া ব্যবহার করবে:


প্রকরণ : একটি পাথরের টুকরার উপর হরিতাল, গরুর চনা, হরিদ্র্যা কুয়ুথ জাপরান ও কাপুর একত্রে মিশিয়ে নিম্নের কবছ অংকন করবে এবং পাশে একটি উলঙ্গ ছবি আঁকবে। তারপর নিম্নোক্ত দোয়া পাঠ করে ২১ বার ফুঁ দিবে। তারপর এ কবছটির উপর আরেকটি পাথরের টুকরা চাপা দিয়ে মাটিতে পুঁতে দিবে। পাঁচ জন মাওলানা লোকের পেট ভরে সন্তুষ্টির সহিত খাওয়াবে। যাওয়ার সময় কিছু মুদ্রা দিয়ে দিবে। এই কবজে যাকে বোবা করবে তার নাম লিখে দিতে হবে নিচের দিকে।

দোয়া“ইতিতে কমিত্ দিবত্রিশু মোকেণ্ড দুর্লভয় কাত্তিদ নিত্য ধনা রগ্য বিবর্ধন। কহুনা অমুকের বাক শক্তিকো নিকালনে হোগা ত্রিশু মোকেও।“

বিঃ দ্রঃ অমুকের শব্দের জায়গায় শত্রুর নাম বলতে হবে ।


যে ব্যক্তির কোন সন্তান হয় না তাদের জন্যে এই কবছ ও দোয়া ব্যবহার করবে:


প্রকরণ : শনি অথবা মঙ্গলবার বিকাল বেলায় পরিস্কার কাপড় পরে নদী থেকে পানি আনবে । তারপর আমের বাকল, গাব গাছের বাকল, আমলকি গাছের বাকল ও নিম গাছের বাকল একত্র করে ঐ পানির ভিতরে মিশিয়ে এক সপ্তাহ রাখবে। এক সপ্তাহ পর যাদের সন্তান হয় না ওদের স্বামী-স্ত্রীর দুইজনেরই মাঝ আঙ্গুলের রক্ত নিয়ে ঐ পানিতে মিশিয়ে নিম্নোক্ত কবছ লাল পাতলা কগজে লিখবে। পাশে একটি নবজাতক শিশুর ছবি এঁকে দিবে। শিশুর ছবির নিচে স্বামী-স্ত্রী দুই জনেরই নাম লিখবে। কবছটাকে সামনে রেখে ৩৮ বার নিম্নোক্ত দোয়া পাঠ করে ফুঁ দিবে । তারপর ঐ কবছ সোনার টোলে ঢুকিয়ে মুখ আঁটকিয়ে দিবে। তারপর তাবীজটা মঙ্গলবার রাত ১২ টার এক গ্লাস পানির ভিতরে পাঁচ বার ডুবিয়ে স্বামী-স্ত্রী দুই জন সমান ভাগ পানি খেয়ে নিবে : তারপর তাবীজটা স্ত্রীর কোমরে রাখবে ঐ রাতেই সঙ্গম করবে। তাহলেই দেখা যাবে ওদের সন্তান পেটে আসবে।

দোয়া“একাই খাইয়াচে লিয়াকিছিন কুরূনেছে মলাইনছে গিলোনা পিছ পরসাবি। ইয়া আমাই লোয়া জিনাশি কুর আনি? অমুক অমুকীকা লিথাসি লিথাসি লিথাসি।"


(বিঃ দ্রঃ অমুক অমুকীর স্থানে স্বামী-স্ত্রী দুইজনের পুরো নাম বলতে হবে।)


প্রেমিক প্রেমিকার বন্ধুত্ব থেকে শত্রু বানিয়ে দেওয়ার কবছ ও দোয়া।

এই কবছটি ঠিকভাবে ব্যবহার করলে যতই বন্ধুত্ব থাকবে থাকনা কেন। বন্ধুত্ব নষ্ট হয়ে যাবে। একজন আরেক জনকে দেখলে সিংহের মতো গর্জে উঠবে । এই হলো তার প্রতিক্রিয়া।


প্রকরণ : শনিবার দিন রাত বারটায় কবরস্থান থেকে একমুষ্ট মাটি এনে ঐ মাটি দিয়ে দুইটি মূর্তি বানাবে, একটি পুরুষ একটি মেয়ে, তারপর জাপরান বাঁশের পাতার রস এবং শাপের রক্ত সহ একত্রে মিশিয়ে নিম্নোক্ত কবছটি অংকন করবে। এবং দুই পুতুলের গায়ে উভয়ের নাম লিখবে। তারপর কবছ ও মূর্ত্তি গুলোকে সামনে রেখে নিম্নোক্ত দোয়া ২৪০ বার পাঠ করে ফুঁ দিবে । কাজ শেষ হলে শুক্রবার রাত ১২টায় ঐ কবরে মূর্ত্তি এবং কবছ এক সাথে কবর দিয়ে দিবে। তাহলেই দেখা যাবে বন্ধুত্ব নষ্ট হয়ে যাবে।


দোয়া ঃ “রমসা লিমুকা জুয়ানিকো পরছিনা কিল মুজে অমুক অমুকীকো লিথুসুয়ানা কারসিনে লাইযিমানসা। রিয়াথে কিয়াছু রুকনে ফির হামিসা ছিলে। “


বিঃ দ্রঃ অমুক অমুকীর স্থানে প্রেমিক প্রেমিকার নাম বলতে হবে।



পরের স্ত্রী বশীকরণের দোয়া ও কবছ:

এই কবছ ব্যবহার করলে পরের স্ত্রী বশীকরণ করা যায় তবে বশীকরণ করলে তাকে নিজের স্ত্রীর মর্যাদা দিতে হবে। যদি কোন কুমতলবে ব্যবহার করলে তার এক অংগ অচল হয়ে যেতে পারে। তাই অনেক ভেবে চিন্তে কাজ করতে হবে ।


প্রকরণ ঃ বৃহস্পতিবার বিকেল বেলায় অশ্বত্থ গাছের দশটা পাতা এবং বাঁশ গাছের দশটা পাতা এক নিঃশ্বাসে গাছের ডাল থেকে তুলে নিবে। তারপর এ পাতা গুলোর উপর যার জন্যে বশীকরণ করা হবে এবং যাকে বশীকরণ করবে তাদের উভয়ের নাম এক সাথে লিখতে হবে জাপরান কালি দিয়ে। লেখা শেষ হলে সবগুলা পাতা একত্র করে মুটি বেঁধে রাখবে তারপর নিম্নোক্ত কবছ হরিণের চামড়ার উপর অংকন করবে জাফরান কালি তারপর ঐ পাতা গুলো কবছের উপর রেখে নিম্নোক্ত দোয়াটি ৭ বার দিয়ে। পড়ে ফুঁ দিবে।


যাকে বশীকরণ করবে তার আসা যাওয়ার রাস্তায় কবছ ও পাতা গুলো পুঁতে দিবে । কাজ শেষ হলে পাগলের মত দৌড়ে আসবে মনোনীত ব্যক্তির কাছে।


দোয়া ঃ “দিল মিলায়ে কুরিতুই ইয়াজুখা নিছাইনিচে লাম ছিনই। অর দিল বিটাইয়ে কিরুছ মানিয়া ছাইনি লোয়াছ কির্ খানাই । কুপুরী কালাম অলকীক ছাইয়ামে অমুক অমুকীকে খিলানে লিয়াছিনে মাইয়ানিকো পেছান।“


[বিঃ দ্রঃ অমুক অমুকীর জায়গায় মনোনীত ব্যক্তির নাম বলতে হবে।]

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন

এখানে ক্লিক করে বই ডাউনলোড করুন