অদ্ভুত দেশ বিখ্যাত মন্ত্র ও কবিরাজি শিক্ষা বইয়ের সকল মন্ত্র এক সাথে শিখুন বান,বশিকরন, বিভিন্ন রকমের যাদুর মন্ত্র

 

অদ্ভুত দেশ বিখ্যাত মন্ত্র

কবিরাজি শিক্ষা


ভূত,পেত্নি,জিন,পরি,দেও,দানব,মাদার কালি, হাজির করার মন্ত্রঃ-

(ক)ফুল পড়া মন্ত্রঃ

ফুল ফুল মহা ফুল,ফুলের ভীষণ কৈলাসে থাকে

মা তোমাকে ফুলের সাধনায় ভক্তে ডাকে,

ভক্তের বাঞ্চনা পূর্ণ কর তা না হলে

ত্রিশ কোটি দেবতার মাথা খাও।।

(তিন বার পাঠ করতে হবে)

 (খ) ভূত হাজির করার চালানী মন্ত্রঃ

শিব শিব মহাশিব

শিবের আসন বাসন লড়ে,

শিবের আসন বাসন ধরে দিলাম টান

শিব বলে প্রান হারাইলাম

শিব বলে গো হরি ।

অকুমারি নারী আমি

কোন কোন চোরা

আইল চুরি করিবার

যদি চোরা মান করে ।

বন্ধু বলে হাত ধরে

যদি চোরা মান করে

মার সাথে ঘর করে

এংগেল দিল জেংগেল দিল

ভাঙ্গা এক খানা কুলা দিল

এই সমস্ত জিনিস শিবের

বিদায় দান পাইল

শূর্ণে থাকে শূর্ণের গুরু

শূর্নে থাকে নিরাঞ্জন

ওরন কোরন জিন পরি

দেউ দানব মাদার কালি

ভূত পেত্নী বার ভাই বইশাল

হাইছা কাইছা যে কেহ

আমার আসরে আসিয়া

যদি না কও কথা

খাও কার্তিক গনেশের মাথা

দোহাই সলেমান নবী । আয়,আয়,আয়।।

ভূত,পেত্নী ছাড়ানো মন্ত্রঃ

দোহাই ধর্ম দোহাই ধর্ম

ধর্মের নিরাঞ্জন

তিনজনে একজন একজনে তিনজন

ত্রিভূবন যার দোহাই লাগে তার

ভয়তে মানে পেতে মানে

ছুতে মানে হাইছা মানে

কাইছা মানে বারভাই বইশালে মানে

চোরায় মানে চরি মানে

জিন মানে পরি মানে

উনো চল্লিশ বাই

বাতি শ্লিষায় মানে । ছু ছার ।

ভূত হাজির করার চালানী গানঃ

ঘরের কোন খানে কি হইয়াছে

তা না দেখিয়া

মিছা মায়ায় ভুইলা রহিলে।। ঐ

মাঝির জাইরা যদি হও

আল্লাহর কালাম মাইনা

হাজির হও ভাইরে

ঘরের কোন খানে কি হইছে

না না দেখিয়া মিছা ময়ায়

ভুইলা রহিল

চারালের জাইরা যদি হও

আল্লাহর কালাম মাইনা

হাজির হও ভাইরে

ঘরের কোন খানে কি হইছে

তা না দেখিয়া মিছা ময়ায়

ভুইলা রহিলে

গাব গাইছা দেউ যদি হও

আল্লাহর কালাম মাইনা

হাজির হও ভাইরে।। ঐ

বট গাইছা দেও যদি হও

আল্লাহর কালাম মাইনা

হাজির হও ভাইরে ।।

জাতে জিন পরি হও

আল্লাহর কালাম মাইনা

হাজির হও ভাইরে

ঘরের কঙ্খানে কি হইয়াছে

তা না দেখিয়া মিছা ময়ায়

ভুইলা রহিলা ।।

ভূত হাজির করার চালানী গান "দোছরা"

দয়াল আয় আয় দয়াল

আয়রে আয় দয়াল আয়।

তোর সঙ্গীনীকে সঙ্গে না লয়ে

দয়াল আয় আয় দয়াল আয় ।। ঐ

তোর মাদার মনিকে সঙ্গে না লয়ে

দয়াল আয় আয় দয়াল আয়রে আয় ।। ঐ

তোর গাব গাইছা দেউকে সঙ্গে

না লয়ে দয়াল আয় ।। ঐ

তোর পেন্তীকে সঙ্গে না ।

লয়ে দয়াল আয়, আয় দয়াল

আয়রে আয় ।। ঐ

তোর বার ভাই বইশালকে

সঙ্গে না লয়ে দয়াল আয়।। ঐ

তোর শাহপরীকে সঙ্গে না লয়ে

দয়াল আয়, আয় দয়াল আয়রে আয় ।। ঐ

ভুত হাজির করার সময় উপরোক্ত চালানী গানের মত কয়েটি গান গাওয়া উচিৎ ।

রাম কুন্ডালীঃ

বিছমিল্লাহির রাহমানীর রাহীম

বন্ধ বন্ধ নাক বন্ধ ক্যান বন্ধ

চক্ষু বন্ধন মাথা বন্ধম পা

আট দিকে ষোল ক্রোশ জুড়ি

দোহাই লাগে কেরাবিন কাতেবিন

সাক্ষি থাকিও ভূত পেত ফুস ফাস

দেউ পরী আছ যতজন

কেহ না জাইতে পারে আমার বন্ধ যতক্ষন

আমার বন্ধের ভিতর

যদি বাড়াও পা ।

উঠীতে বসিতে লাগে শক্তিশেলাএ ঘাউ

বিছমিল্লাহ ছন্ধ ইহা দিয়া করিলাম

শরীর বাড়ী ঘর দুয়ার বন্ধ

বন্ধ করিলাম সার দোহাই লাগে

সাক্ষী থাকিও কার্তিক গনেশের মাও ।।

(তিন বার পাঠ করিতে হইবে)

রাম কুন্ডালী দোছড়া মন্ত্রঃ

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম

ঘর বান্ধি দুয়ার বান্ধি

বান্ধি ঘরের চারটি পাইর ।

ষোলশ যগিনী ডাকিনী বান্ধি

লোহার দিয়া শাইল ।

রাম কুন্ডালী দরিয়ায়

আসমান জমিন থাইকা জুরিয়া

এক নামে দুই অক্ষর

আসমান জমিনে লাগল টক্কর

হা হু জলেদা বর্মার নামে তে জেদা

বর্মা বিষ্ণ শিবের নামে ভজে

হরির নামে করলাম ধীস

(তিন বার পাঠ করিরে হবে)



সোলেমান কুন্ডালী মন্ত্রঃ

ভজরম ভজহুংকার

দশরম দশ দুয়ার

ভজরম পূর্ব পশ্চিম

থাকি বন্ধ করিয়া আমি ডাকি

ত্রিশ কোটি দেবতা ভজিয়া

তব বন্ধম তব বন্ধম আকাশ বন্ধম

পাতাল বন্ধম, পাতালের

খারিজা বন্ধন

লংকার হনুমান বন্ধম

হাইছা বন্ধম চোরী বন্ধম

বার ভাইবইশালা বন্ধম

ভূত পেত মাদার কালি

আমার বন্ধ ছাড়িয়া যদি যা

দোহাই লাগে সোলেমান নবীর মাথা খাস ।

(তিন বার পাঠ করতে হবে)

ভূত পেত্নী হাজির করার নিয়মঃ

প্রথম একটি ঘরকে মাটি দ্বারা লেপিতে হবে । তারপর দুই খানা জায় নামাজের সমান বিছানা নিতে হবে । একখানা বিছানার মধ্যে কবিরাজ নামাজের কায়দায় পূর্ব দিকে মুখ করিয়া বসিবে । অন্য বিছানায় রুগিকে পশ্চিম দিক মুখ করে বসাতে হবে। কবিরাজ ও রুগির মাঝখানে এক হাত জায়গা ফাকা রাখতে হবে ।

 পরে সিন্দুর সরিষার তেল গুলিয়া ঐ ফাকা জায়গায় বাম হাতের ছোট আঙুল দ্বারা একটি মানুষের মুক্তি আকিতে হবে । আসনে দুধ কলা আগর বাতি ও পাঁচ টাকা রাখতে হবে । আসনের বাম দিকে কলার মাইচ পাতার মধ্যে উপরক্ত দ্রব গুলি সুন্দর করে সাজিয়ে রাখতে হবে ।

তাহার পর কবিরাজ একটি রাম কুন্ডালি দ্বারা নিজের চারি দিকে গোল দাগ দিবে ।  যাতে ভুত পেত্নি কবিরাজের ক্ষতি করতে না পারে ।  পরে সরিষার তেল গুলা কবিরাজের নিজের বাম হাতের ছোট আঙুল দ্বারা প্রথম মূক্তির ছোট আঙুলের মধ্যে লাগাইয়া উক্ত আঙুল দ্বারা প্রথম মুক্তির ছোট আঙুলের মধ্যে লাগাইয়া উক্ত আঙুল দ্বারা মুক্তির কপালে তাহার পর রুগির কপালে ও পরে আসনের কলার পাতার মধ্যে ফোটা দিতে হবে।

উক্ত নিয়মে তিন বার তিনটি ফোটা দিতে হবে । তাহার পর তিনটি সিন্দুরের ফোটা মুক্তির কপালে , রুগির ও কলার পাতার মধ্যে দিতে হবে । তাহার পর তিনটি জবা ফুল লইয়া কবিরাজ নিজের দুই একত্র করে তিন দফা ফুলের মধ্যে ফু দিয়া রুগিকে কবিরাজের মত দুই হাত একত্র করতে বলবেন । এবং রুগির দুই হাতের বৃদ্ধা আঙুলের মাঝামাঝি একটি জবা ফুল হাত দিয়া ধরিয়া কবিরাজ রুগিকে তিন দফা প্রশ্ন করবেন যে,

আপনার উপর জিন পরি ভূত পেত্নি মাদার কালি কোন কিছুর আছর আছে কিনা...?

রুগিঃ- হা আছে ? তিনবার বলতে হবে ।

কবিরাজঃ রোগিকে লক্ষ করে বলবেন , আমি ডাকলে আমার আসরে ভুত পেত্নি আসবে ।

রোগিঃ হা বলবে । তিনবার বলতে হবে

কবিরাজঃ রোগিকে লক্ষ করে বলবেন , সত্যি বলছেন তো ভূত পেত্নি আসিয়া আমার সংগে কথা বলবে ।

রোগিঃ সত্যি বলছি ভূত পেত্নি আমার উপর হাজির হয়ে আপনার সঙ্গে কথা বলবে । তিনবার বলতে হবে ।।

 

তাহার পর কবিরাজ রোগিকে রোগির হাতের ফুলের দিকে এক ধিয়ানে চাহিয়া থাকিতে বলিবেন ।। ও বাকি ফুল দুইটি কপ্লার পাতার মধ্যে রাখিয়া দিবেন । তারপর কবিরাজ ছোট একটা লাঠি দ্বারা ঐ মূক্তির মধ্যে আঘাত করতে করতে ভূত চালানি মন্ত্র পড়িয়া রোগির ও মুক্তির শরীরে ফু দিতে থাকুন । যদি ভূত পেত্নি মাদার কালি বার ভাই বাইশাল জিন পরি কোন কিছুর আছর উক্ত রোগির উপরে থাকে তবে অব্যশয় আল্লাহর রহমতে ১০ মিনিটের মধ্যে এসে উপস্থিত হবে ।

 মাঝে মধ্যে চালানি গান গাইবে । যদি কোন দুষ্টু লোক আসনে থাকে যে ভূত পেত্নি ঘরে রোগির উপর আসিতে দিচ্ছে না বন্দ করে রাখে  তাহলে বান কাটা মন্ত্র পাঠ করে পানির মধ্যে ফু দিয়া পানি আসনের চারি দিকে ছিটাইয়া দিয়া চালানি মন্ত্র ও গান গাহিলে মাটি ভেদ করিয়া হাজির হবে । তার পর রোগির চারি দিকে লাঠি দ্বারা আক দিতে হবে এবং রাম কুন্ডালী মন্ত্র পাঠ করতে হবে । যত ক্ষণ কবিরাজ রাম কুন্ডালি কাটিয়া না দেয় । ততক্ষণ আচর ভাগিতে পারিবে না ।

 

ভূত হাজির করার পানি পড়া মন্ত্রঃ

ফুল চালিতে আচল চালি

আরো চালি শিব ।

চার কোন পৃথিবী চালি দেউ দানব জীব

আরো চালি দেউ দানব জীব

গাছে থকস দোহাই ধর্মের

শূর্নে থাকস দোহাই রামের

মার দোহাই পেইলা যদি

না আহস সলেমান নবীর মাথা খাও

আমার এই আসরে দিয়া পাও

মিষ্টি সুরে কথা কও ।

(তিনবার পাঠ করিতে হবে)

রাম কুন্ডালি কাটা মন্ত্রঃ

করাত করাত মিহিন করাত

আইতে কাটে যাইতে কাটে

ছত্রিষ কোটি দেবতার

বান কাটে ।

(তিনবার পাঠ করিতে হবে)

তাহার পর ভাল মত জপছল করে ওয়াদা করাইয়া ভূত পেত্নীকে ছাড়িয়া দিতে হইবে । যদি ভূত পেত্নী আসরে আসিয়া কথা না কয় তবে সামান্য নিশাদল হাতে লইয়া পান খাওয়ার চুনের সাথে মিলাইয়া রোগীর নাকের সামনে ধরিলে রোগি খুব চিল্লাইয়া কথা বলিবে । তারপর ওয়াদা করাইয়া ছাড়িয়া দিবে। রাম কুন্ডালী কাটার মন্ত্রটি পড়তে পড়তে রোগীর চতুর দিকের দাগের যে কোন একস্থানে কাটিইয়স দিবে । তখন আছেব পালাইয়া যাইবে । রোগীর শরীর বন্ধ করার তাবিজ নিম্ন রূপে দিবে ।

বার প্রকার গাছের কাটার আগা ।

বারটি সুই ।

বারটি বড়শি আগা ।

চিতার মাটি

পুরান কবরের মাটি

ফাসের দড়ি

মরদ তাল গাছের পূর্ব দিকের শিকড় ।

কুরবানির গরুর জিব্বার আগা ।

 

উপরোক্ত দ্রব্য শনিবার অথবা মঙ্গল বার দিন একটি লোহার তাবিজের মধ্যে ভরিয়া মম দ্বারা তাবিজের মুখ বন্ধ করিয়া রোগীর গলায় দিলে , আল্লাহর রহমতে আছেব আর রোগীর নিকটে আসিতে পারিবে না । তাবিজের হাদিয়া ১০১ টাকা কাবিরাজ কে দিতে হবে । 

জীন পরী ভূত পেত্নী ছাড়ানো মন্ত্রঃ

(ক)

শূন্যে আসন শূন্যে বাসন

শূন্যে কর রাউ

ফলনার অঙ্গে থাকিয়া করিতেছ ঘাউ

দোহাই আল্লাহর ত্রিশ কোটি

দেবতার মাথা খাও । ছু

(তিন বার পাঠ করতে হবে)

(খ)

আসিয়া নরসিংহ বসিল সাথে সাথে

ভুত জারলাম বজ্জব হাতে

ডাইনে জারুম বায় ঝারুম

ভুত পেত কলচাইয়া মারুম

ডাইকা মারুম ডুমকরী মারুম

পাথর করমু চূর্ন

কোন কোন দেবতা মারুম

দেবী দেবী শুন

অনুখা জনুখা বলে

আমি নসসিন ভাল জানি

ফলনার অংগের জ্বর ঝাড়ী

বিষ বেদনা আপদ বালাই

ছত্রিশটা রোগের কর ঘাউ

দোহাই আল্লাহর মোহাম্মদের

ত্রিশ কোটি দেবতার মাথা খাও

কালা কালা নরসিং করিল গমন

চান সাব পলাইয়া গেল না করে রাউ

পাঞ্জপতি লইয়া গেল

কার্তিক গনেশের মাউ

ত্রিশ কোটি দেবগন

তারা করে হুলুস্থুল

ভূমিষ্টে পড়িয়া নরসিং

তিন বক ছাড়ে

মুই নরসিং বীর

মোর ডাকে কোন

দেবতা থাকতে পারে স্থীর

রাত দিন ভার দিলাম

পাথর দেউ দিলাম

করুণ শামছুর

হাইছা হাইছা মরা কাইছা মরা

ফলনার অঙ্গের জ্বর ঝারি

বিষ বেদনা আপদ বালাই

বাও বাতাশ ছত্রিশটা

রোগের কর ঘাউ

দোহাই আল্লাহ মোহাম্মদের

ত্রিশ কোটি দেবতার মাথা খাও

ভাজা খায় পোড়া খায়

রাজ সন্ন্যাসি ঘাটে যায়

ভূত পায় পেত পায়

মাদার পায় কালী পায়

বাবা ভাই বইশশালে পায়

জিন পায় পরি পায়

দেও পায় দানব পায়

আমার বন্ধের ভিতরে

যে করিবে ঘাউ

আল্লাহ হেটে লৌহ কলম

জগত ভুমি লরিয়া যায়

শিব বলে পারবতি শোন দিয়া মন

অকুমারি নারী আমি কিসের বিবরণ

দেবির খাট লড়ে পাট লরে

লরে সিংহাসন

তাই দেখিয়া শিব ঠাকুরের

জইলা উঠে মন ।

খাইলাম না ছুইলাম না

কোন কোন দুতিকা হাটে চলে

ঘাটে চলে, মহন কুড়েঘরে বাস

সেইখানে ছিল বরিশালে জন্মস্থান

চল চল হুর পরী চল

নীল পরী চল,শাহা পরী চল

কালী চল দেউ চল দানব চল

ভুত চল পেত চল চোরা চল

মাদার চল বার ভাই বইশাল চল

না চলস দোহাই আলী

দোহাই কালি, ফাতেমা জিন্নতে মাথা খান

ছুছার দোহাই সলেমান নবী

মন্ত্র শিক্ষা মকরার নিয়মঃ রবিবার ও বৃহস্পতিবার বাদ রেখে অন্য যে কোন ৭ দিনে মন্ত্রটি মুখস্ত করতে হইবে । যে কোন প্রকার দুষ্টু জিন পরি দেউ দানব মাদার কালি ভুত পেত্নী বার ভাই বাইশাল হোক না কেন উক্ত মন্ত্র পাঠ করে রোগীকে ফুক দিলে আল্লাহর রহমতে পাঁচ সাত ফুকের পরে আছর ঝাড়িয়া যাইবে এবং আল্লাহর রহমতে রোগী ভাল হইবে ।

জিন বাধ্য করার নিয়মঃ

যদি কোন লোক জিনকে বাধ্য করতে চান তবে ভুত পেত্নী হাজির করার পানি পড়া মন্ত্রটি একুশ বার পড়ে পানির মধ্যে একটি ফু দিয়ে সেই পানি ঘরের চতুরদিকে ছিটাইয়া দিবেন । তাহার পর ভুত হাজির করার চালানি মন্ত্র খানা  ৭০০ বার করে পড়িয়া শুইয়া থাকতে হইবে উক্ত কাজ পাক পবিত্র অবস্থায় একা একা ঘরে বসে ২৮ দিন সাধন করিতে হইবে । কাজ করার সময় আসন সাজাইয়া আগর বাতি ও মম বাতি জ্বালাবেন ও সুগন্ধ ব্যবহার করতে হবে । রাম কুন্ডালি নিজের চার দিকে দিয়ে বসলে রাম কুন্ডালির ভিতর জিন আসতে পারবে না । ১৮ দিন কাজ করার পর সামান্য পরিক্ষা পাশ করার পর ২৭ দিনের দিন যে কোন নমুনা দিয়ে যাইবে ও আপনার কথা মানিবে । আর একটি কথা হল যে যাহারা ভুত পেত্নী করিরাজি করিবেন তাহারা সন্ধ্যার পর বাড়ি হইতে বাহির হইবার পূর্বে এই সাইটের যে কোন একটি রাম কুন্ডালি তিন বার পাঠ করে নিজের বুকের মধ্যে ফু দিয়ে বাহির হবেন । কোন দিনও শরির বন্ধ না করে বাড়ি থেকে বের হবেন না । কারন মানুষে কথায় বলে যে লোক যাহা লইয়া খেলা করে তার হাতেই তাহার মৃত্যু । সতর্ক ভাবে চলা ফেরা করিলে কোন প্রকার ভয়ের কারন নেই । সতর্ক থাকা মানুষের প্রধান কাজ ।


ভুত পেত্নী আচুলি বান্ধা মন্ত্রঃ

ডাইনে বানলাম দশ ক্রোশ

হেটে বানলাম দশ ক্রোশ

শিহরে বানলাম দশ ক্রোশ

ধারার কল্লা মোহাম্মাদূর রাসুল

জিব্রাইল, ইস্রাফীল, মিকাইল, আজরাইল

চার ফেরেস্তা চার কোল,

ডাইনে বায় মোহাম্মাদূর রাসুল

ইয়াহু ইয়াহু হকেক আল্লাহ

লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহু

(তিন বার পাঠ করিতে হবে)

মন্ত্র শিক্ষা করার নিয়মঃ মন্ত্রটি শনিবার দিন একা একা বসে শিক্ষা করিতে হইবে । স্ত্রীলোক রাস্তা ঘাটে চলা ফেরার সময় অনেক প্রকার আছর তাদের প্রতি দৃষ্টি করে । মন্ত্রটি পাঠ করে স্ত্রীলোকের পরণে কাপড়ের আচলে তিন দফা ফু দিয়া আচলে গিরা দিলে যে কোন স্থানে দিয়া যাতায়াত করুক না কেন কোন প্রকার আছর দৃষ্টি করিতে পারিবে না ।

 

যাদু বান সম্বন্ধীয়

যাদু বান কাটা পানি পোড়া মন্ত্রঃ

করাত মিহিন করাত

পৃথিবী তিহীন করাত

আইতে কাটে যাইতে কাটে

সেবা দেবির সেবা কাটে

ঠাম ঠুমকে কাটে

বান কুপ ঞ্জান কাটে

হিংগুলি পিংগুলি কাটে

বাপে ডাকে মায়ে শুনে

শূন্যে আসন শূন্যে বাসন

শূন্যে করে ভর

যে শালায় মারছে বান

তাহার গোহার ভিতরে ভর

বান নাম হামা বান নাম শামা

যে পথে আইছত বান

সেই পথে শামলা

হুম আল্লাহ হুম

লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মহাম্মাদুর রাসূল

হুম আল্লাহ হুম । ছু

( তিন বার পাঠ করতে হবে )

(খ) ঐ দোছরা মন্ত্রঃ

আকুলি সাকুলি গঙ্গা দেবি রাই

বান কাটা পানি পড়া পাইলি কোথায়

অরুদে পানি বর্মা লইল মাথে

মুত্তনে দিল পানি মহাদেবের হাতে

আদ্ধ আনল সাক্ষী থাকিও তুমি

ফলনার অঙ্গের ছয় কোটি

ছয় বান পানি পড়ায় কাটি

কার আইঞ্জা হারির আইঞ্জা

গুরুর পাও সিদ্দীকি করবে

কাইলকা চন্ডীর মাও

রাবণ ছিল লংকাতে

ও জাতন লোহার জার

লক্ষন বলছে হনুমান

কাইটা দেও তুমি লোহার জার

যদি না কাট লোহার জার

ত্রিশ কোটি দেবতার মাথা খাও ছু

(তিনবার পাঠ করতে হবে)

মন্ত্র দুইটি শিক্ষার নিয়ম ও কাজে খাটানোর নিয়মঃ

শনিবার ও মঙ্গল বার দিন মন্ত্র দুইটি খুব ভাল ভাবে মুখস্ত করিতে হইবে ।

১। কোন মানুষকে বান মারিলে সাত ঘাটের পানি আনিয়া নতুন পাতিলে রাখিয়া তিন দফা দম বন্ধ করিয়া খাওয়াইলে ভাল হয় ।

২। কোন জায়গা হঠাৎ কাটিয়া গেলে রক্ত বন্ধ না হয়, উক্ত মন্ত্র দ্বারা দম করে পানি খাওয়াইলে ও ক্ষতস্থানে ফু দিলে আল্লাহর রহমতে রক্ত বন্ধ হয় ।

৩। যদি কোন দুষ্টু লোক গাভীর দুধে বান মারে তবে নদীর পাকের পানি শনি বার অথবা মঙ্গল বার দিন নতুন পাতিলে করিয়া আনিয়া সেই পানির মধ্যে মত্র পাঠ করিয়া তিন দফা দম করিয়া গাভীর দুধে মধ্যে ছিটাইয়া দিলে ভাল হয় ।

৪। কাটা ঘাও ভাল না হইলে মুখের ভিতর পানি লইয়া মন্ত্র পাঠ করে কাটা ঘায়ের উপরে তিন দিন কুলি দিলে ঘাও ভাল হয় ।

৫। কোন পুরুষ অথবা স্ত্রীলোক কাহারো জন্য পাগল হইলে বা কেহ নষ্ট করিলে উক্ত মন্ত্র পাঠ করিয়া পানির মধ্যে ফু দিয়া খাওয়াইলে খোদা চাহে ভাল হইবে ।

৬। এক কথায় যত প্রকার নষ্ট আছে বা বান কূপ জ্ঞান আছে সব ভাল করা যায় ।  উপরোক্ত মন্ত্র দুইটি দ্বারা ।

যাদু বান টোনা কাটার মন্ত্রঃ

ত্রিশ কোটি বান হাজারো কালাম,

বিছমিল্লাহ হরফ দিয়া কাইটা করলাম তামাম ।

নিয়মঃ মন্ত্রটি ভাল ভাবে শিক্ষা করিতে হইবে। যে কোন প্রকার যাদু বানের জন্য নদীর পাকের পানি আনিয়া নতুন পাতিলে রাখিয়া পানির মধ্যে মন্ত্র পাঠ করিয়া । পানি খাওয়াইলেই ভাল হয় । ডর শব্দের পানি পড়াও চলে । শুইবার সময় মন্ত্রটি তিন পাঠ করে বুকে তিনটি ফু দিয়ে ঘুমাইলে কোন প্রকার যাদু বানে আক্রমন করিতে পারে না ।

যাদু বান ফিরানো মন্ত্রঃ

কাল্লাহ বাল্লাহ আদম ছফিউল্লাহ

বিসমিল্লাহ্‌ হা যার বান কুজ্ঞান

তারে গিয়া খা ।

নিয়মঃ মন্ত্রটি ভাল মত শিক্ষা করিতে হইবে । উপরোক্ত মন্ত্র সকালে তিনবার পাঠ করিয়া বুকের মধ্যে ফু দিলে । ও রাত্রে শুইবার সময় মন্ত্র তিন বার পাঠ করে বুকের মধ্যে ফু দিলে । কোন প্রকার বান কুজ্ঞান আক্রমন করে না । ররঞ্চ যদি কেহ দুষ্টামি করে যাদু  বান মারে তবে যাদু বান উপরোক্ত মন্ত্র পাঠ কারীর শরিরে লাগিবে না । যে মারে তাহার উপর ফিরিয়া যাইবে । এমনকি একশত একাশি পেওকার বানের পানি পড়াও বিখ্যাত মন্ত্র । এই সমস্ত তন্ত্র মন্ত্র কোন পুথি পুস্তকে নাই । কাজেই আমি মানুষের উপকারার্থে এই মন্ত্র গুলি এই ওয়েবসাইটে লিখতে বাধ্য হইলাম । আর আল্লাহ উপরোক্ত মন্ত্র গুলি দ্বারা বাংলা ভাষার সকল মানুষের উপকৃত করুন । তবে আমার পরিশ্রম সার্থক হবে ।

বিদেশ হইতে বাড়ির খবর লওইয়ান মন্ত্রঃ

ছিয়া ছেফাত নূরে রতন

নিজের অঙ্গে প্রভূ তুমি

দেও ধরেশন

যদি আমার এই জ্ঞান লড়ে চড়ে

ঈশ্বর মহাদেবের জটা ছিড়ে

ভূমিষ্টে পরে

দোহাই আল্লাহর লাগে

নিয়মঃ ইহা একটি পরীক্ষিত আমল । নিয়মিত কাজ করিলে কাজে লাগিবে । আমাদের দেশের অনেক মানুষই বিভিন্ন জেলায় চাকুরি করেন বা বিদেশে কাল কাটান তাদের বাড়ীর খবর লওয়ার জন্য মন্ত্রটি একান্ত দরকার ।

 

মন্ত্রটি ভাল ভাবে মুখস্ত করিলেই হইবে । নিজের ছায়ার দিকে তাকাইয়া মন্ত্রটি এক দমে পাঠ করে নিজের বুকের মধ্যে ফু দিয়া আকাশের দিকে ছায়া বরাবর তাকাইলে নিজের ছায়া আকাশে দেখিতে পাইবে । কোন ভয়ের কারন নেই । বাড়ীর দুর্ঘটনা দেখা যাবে ।

ছায়ার মধ্যে কি দেখিলে কি হয় বিস্তারিত লিখিয়া দেওয়া হইলঃ

১. যদি আকশে নিজের ছায়ার মধ্যে দেখা যায় বাম হাত নাই তবে বুঝিতে হইবে নিজ স্ত্রী মারা গিয়াছে ।

২. যদি বাড়িতে পিতা মারা যায় তবে দেখিবে ছায়ার বাম পা নাই ।

৩. আর যদি নিজের ছেলে মেয়ে মারা যায় তবে দেখিবে ছায়ার ডান পা থাকিবে না ।

৪. যদি বাড়িতে মাতা মারা যায় তবে দেখিবে ছায়ার ডান হাত নাই ।

৫. আর যদি ছায়ার মাথা না থাকে তবে বুঝিবে বাড়ীতে গণ্ডগোল আছে ।

৬. আর বাড়ীতে কাহারো যদি কোন প্রকার অসুখ থাকে তবে ছায়ার দুই পা থাকিবে না ।

৭. আর আত্নীয় বাড়ি কোন লোকের অসুখ বিসুখ থাকিলে ছায়ার দুই হাত থাকিবে না ।

আলী সাধনঃ

এর কাচ কাচুম বিরী কাচ কাচু

কাচুম জুমের দূত।

লোহার স্বরে কাচ কাচিলাম

মুই কালিকার পুত।

কাকে দরুম কাকে মুছুরুম

কাকে মুছুইরা খাম

লোহার স্বরের বরে

আমি নান্দা করিবার যাম ।

মা খাকি সাক্ষী থাকিও

তুমি কাচ কাচুম

কাচের করলাম ধারা

আসমানের চন্দ্র সূর্য

কোমরে করলাম জোরা

কাটা গোছার মুখ বন্ধ

করিলাম বেদ কোরআন দিয়া

ঠাটা বিজলী বন্ধ

করলাম ভূট কাচ দিয়া

মুদ্দুই মকালিপের মুখ

বন্ধ করলাম সমুদ্রে বানলাম বীর

লাঠির বাড়ি তরওয়ালের চোট

বন্দুকের গুলি না লাগে আমার গায়

বর্মার বানে কালকে দেবির পায়

লোহার তীর গুলি না লাগে ।

আমার গায় ইয়া আলি

ইয়া আলি , ইয়া আলি

(তিন বার পাঠ করিতে হইবে ।)

মন্ত্র শিক্ষার নিয়মঃ মন্ত্রটি পাঁচ দিনে মুখস্ত করিতে হইবে । মাছ ও গরুর মাংস খাওয়া নিষেদ । কাজ করার সময় উক্ত মন্ত্রটি তিন দফা পাঠ করিয়া একটি গামছা কোমরে বাধিতে হইবে । ইহাতে আল্লাহর রহমতে চল্লিশ পঞ্চাশ জন মানুষের শক্তি নিজের শরিরে পাইবে । অন্যায় কাজে মন্ত্র খাটানো নিষেধ ।

 

লোহার অস্ত্র বন্ধ করার মন্ত্রঃ

হাত কাহানি নেকর বেকর

কপাল খানি জ্বলে।

আমার শরির করলাম বন্ধ

আল্লাহ মোহাম্মদের কলে ।

আল্লাহ লাগে তাল্লা

মোহাম্মদের লাগে ধন্ধ

আল্লাহ মোহাম্মদের কালেমা দিয়া

করলাম আমার শরির বন্ধ

যদি আমার এই বন্ধ ছোটে ।

দোহাই লাগে আল্লাহ মোহাম্মদের

ফাতেমার মস্তক ফাটে ।।

(তিন বার পাঠ করিতে হবে ।)

মন্ত্রটি শিক্ষা করার নিয়মঃ গ্যাসির রাতে শনি বার অথবা মঙ্গল বার হওয়া চাই । ধূপ ও মরিচের শুকনা গাছ দ্বারা ধুইয়া জ্বালাইয়া তে পথে বসে মন্ত্রটি শিক্ষা কুরিতে হইবে । নিয়ম মত মন্ত্রটি শিখিতে পারিলে বেশ নাম করা কাজ করিতে পারবেন । মন্ত্রটি তিন বার পাঠ করে বুকের মধ্যে তিনটি ফু দিলে । লোহার কোন প্রকার অস্ত্রই শরিরে লাগিবে না । এক কথায় শরিরের একটি পশমও লোহার অস্ত্রে কাটিবে না । কারন লোহার অস্ত্রের মুখে ফু দিলে লোহার অস্ত্রের ধার নষ্ট হইয়া যাইবে । এমনকি বন্দুকের গুলিও শরিরে আবদ্ধ হইবে না ।

দাত চিরস্থায়ী থাকার মন্ত্রঃ

অনতুরস জনতুরস

তোমার পঞ্চ ভাই কেহ থুইয়া কেহ যাস

ঈশ্বর মহাদেবের মাথা খাস।।

(তিন বার পাঠ করিতে হইবে)

নিয়মঃ মন্ত্রটি পূর্ণিমার রাত্রে মুখস্ত করিতে হইবে । সকালে তিন বার ও বিকালে তিন বার মন্ত্রটি পাঠ করে দাতে দাতে কামড় দিতে হইবে । নিয়ম মত প্রতিদিন সকালে ও বিকালে মন্ত্রটি খাটাইলে দাত পড়িবে না আল্লাহর রহমতে কথায় মানুষ বলে দাত আসছে পরে, আগে যাইবেন কেন । তা ঠিক দাত পরে আসে পরে যাইবে ।

Post a Comment

أحدث أقدم

এখানে ক্লিক করে বই ডাউনলোড করুন