ধ্বজভঙ্গের লক্ষন ও চিকিৎসাঃ

 

ধ্বজভঙ্গের লক্ষন ও চিকিৎসাঃ

ধ্বজভঙ্গ রোগ ভয়ানক কঠিন পীড়া যে পুরুষের ধ্বজভঙ্গ হইয়াছে তাহার মনে সর্বদাই চিন্তা । ধ্বজ ভঙ্গ হইলে সংসার তাহার পক্ষে অসার হইয়া পড়ে, স্ত্রী সম্মিলনে ও পুত্রের মুখ দর্শনে বঞ্চিত হইতে হয় । সে ভাবনা চিন্তার ক্রমে নিরাশার গভীর সমুদ্রে নিমজ্জিত হইয়া থাকে । পুরুষের পক্ষে ধ্বজভঙ্গ কি কঠিন ভয়ঙ্কর রোগ যে তাহা বর্ণনা করা দুঃসাধ্য । ধ্বজভঙ্গের লক্ষণ __ ইন্দ্রিয় শৈথিল্য পুরুষত্বহীন স্ত্রী গমনে অক্ষমতা, শরীরের দুর্বলতা পরিদৃশ্য হয়। এজন্য এই রোগের তদবীর করিলে শুরুতেই করিতে হয় । রোগ পুরাতন হইইয়া পাকিয়া গেলে বহুদিন তদবীর করিলে তবে হয় তা ভাল হয় । নতুবা সকল তদবীর নিস্ফল হইয়া যায় । এই জন্য ইউনানি হাকিম গণ ধ্বজ ভঙ্গ রোগের তদবীর শীঘ্র শীঘ্র করিতে বলেন । অতিরিক্ত স্ত্রীসহবাস , হস্ত মৈথুন ও বেশ্যাগমন হেতু এই রো হয়ে থাকে ।

ধ্বজভঙ্গের তদবীরঃ

রৌগনে নরগিছ, মুরগির চর্বি, হাসের চর্বি, গরুর পায়ের নালার ভিতরের চর্বি, মোমের সহিত আগুনে গলাইয়া , উহাতে বাবলার ফল, গোলে বানাফসা, জামাল গোটা মিশ্রিত করিবে । তৎপরে লিঙ্গ গরম জলে ধৌত করিয়া উক্ত ঔষুধ ভাল করিয়া প্রলেপ দিয়া রাখিবে । যখন লিঙ্গ নরম কোমল হইবে ধীরে ধীরে হস্ত দিয়া সিধা করিয়া দিবে কিন্তু তিন চার মাস স্ত্রীসহবাস করা নিষিদ্ধ একথা স্বরন রাখিবে ।

দ্বিতীয় হেকমতঃ

জিরাকেরমানি, সোওয়াবাকেলা, চিনি এইগুলি পিষিয়া জৈতুন তৈল আর বাবুনার তৈলে মিশ্রিত করিয়া মলম তৈয়ার করিবে । তারপরে ঐ মলম অল্প আগুনে গরম করিয়া প্রলেপ দিয়া পট্টি বাধিয়া রাখিবে ।

Post a Comment

أحدث أقدم

এখানে ক্লিক করে বই ডাউনলোড করুন